সাতক্ষীরায় চলছে রক্তচোষা অবৈধ লটারি

প্রকাশ : ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৯:১৬

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরায় যেখানে সেখানে মেলার নামে চলছে অবৈধ র‌্যাফেল ড্র ও লটারি। দেখেও না দেখার ভান করেছে প্রশাসন। যেখানে চালের উচ্চমূল্যে নাভিশ্বাস হয়ে ওঠছে গরীবের মাঝে, ঠিক তখনই লটারির টিকেট কেটে দ্রুত বড়লোক হওয়ার নেশায় সর্বস্ব খুইয়ে সংসারের অশান্তি বাড়াচ্ছে হতদরিদ্র মানুষগুলো। যে সমস্ত এলাকায় এসব লটারি চলে সেখানে চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের উপদ্রব বাড়তে থাকে।

বর্তমানে কলারোয়ার চন্দনপুরের প্রত্যন্ত এলাকায় চলছে মানুষকে নিঃশ্ব করে পথে বসানোর জুয়া। দীর্ঘদিন ধরে নিরবে চালিয়ে যাচ্ছে “স্বপ্নের ঠিকানা” লাটারি নামক এই জুয়া। ওই লাটারির টিকিট কিনে ইতোমধ্যে নিঃস্ব হয়েছেন অনেকেই। কিন্তু কারো যেন নজর নেই এদিকে।

নড়াইলের কালিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মানিক শিকদারসহ ৩ জনের যৌথ পরিচালনায় সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকায় এ লটারি নামক জুয়া অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। প্রতিদিন প্রায় শতাধিক ইজিবাইক কলারোয়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়নসহ যশোরের শার্শা ও সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা, বাঁশদহা, আগরদাড়ী, কুশখালী, লাবসা ইউনিয়নে ছড়িয়ে পড়ে। বিক্রয়কর্মীরা ভাগ্যের দোহাই দিয়ে বিভিন্ন সুমধুর সুরে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে টিকিট বিক্রয় করে। 

এবিষয়ে লটারির পরিচালক রবিউল ইসলাম রবি’র সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, চলতি মাসের এক তারিখ থেকে প্রথমে ১০ দিনের লটারির অনুমতি পেয়েছিলাম। পরে মৌখিকভাবে আরো ১৫ দিনের অনুমতি পেয়েছি। প্রতিদিন ১০০ ইজিবাইক বিক্রয়ের জন্য বের হয় এবং প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ হাজার টিকিট বিক্রয় হয়। তাছাড়া ডিসি সাহেবের মৌখিক অনুমতি রয়েছে। তিনি রিপোর্ট না করার অনুরোধ জানিয়ে মানিক চাচার সাথে কথা বলার জন্য অনুরোধ করেন।

কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কোন সমস্যা থাকলে ডিসি স্যারকে বলেন। মেলা, র‌্যাফেল ড্র এগুলোর অনুমতি তিনি দিয়ে থাকেন। আমার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা।

লটারির বিষয়ে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দীন জানান, আমরা মাঝে তো বন্ধ করে দিয়েছিলাম। আবারো শুরু হয়েছে। আমরা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। সেখানে লটারির কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত