তালা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ দু’জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৬:৪২

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

কর্মস্থল থেকে উচ্ছেদের নোটিশ দিয়ে কৌশলে ৫৭ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ সাতক্ষীরা তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ দু’জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

রবিবার সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খলিলনগর গ্রামের মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে শেখ মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে তালা সহকারী জজ আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।

বিচারক আয়েশা আক্তার মৌসুমী আগামি ৩০ অক্টোবরের মধ্যে এ ব্যাপারে কারণ দর্শানোর জন্য তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, মামলার বাদি তালা উপজেলার খলিলনগর গ্রামের শেখ মোহাম্মদ আলীর ছাত্রজীবনের বন্ধু আইনজীবী অ্যাড. হারুন অর রশীদের আইনজীবী সহকারি (মোহরার) হিসেবে তালা সেটেলমেন্ট অফিসে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছিলেন। ২০১৬ সালের ৯ মে তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে ফরিদ হোসেন যোগদান করেন। এরপর থেকে তালা সেটেলমেন্ট অফিস চত্বর থেকে মোহরার ও আইনজীবীদের সেরেস্তা অপসারণের উদ্যোগ নেন। তার সেরেস্তা তুলে দেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ হোসেন গত তারিখে তাকে একটি নোটিশ করেন। নোটিশটি তার ভাই শেখ শওকত হোসেন রিসিভ করেন। এরপর সেরেস্তা অপসারণ না করার জন্য তিনি ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন। উপায়ন্তর না দেখে তিনি গত বছরের ১৩ আগস্ট খলিলনগর ইউপি চেয়ারম্যান রাজুর মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ৩০ হাজার টাকা ঘুষ দেন। পরবর্তীতে তিনি নিজে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর আরো ২৭ হাজার টাকা ঘুষ দিতে বাধ্য হন। পরবর্তীতে আবারো টাকা চাওয়ায় তিনি তার সেরেস্তা তুলে নেন।

শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, টাকা চেয়ে না পাওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দক্ষিণ নলতা গ্রামের জিন্নাত উল্লাহর ছেলে দালাল মফিজুল ইসলামকে দিয়ে তার (মোহাম্মদ) কাছে ৬৫ হাজার টাকা পাওনা আদায়ের একটি মিথ্যা অভিযোগ করান। গত ছয় সেপ্টেম্বর ধার্য দিন দেখিয়ে ১০ সেপ্টেম্বর এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ জারি করানো হয়। যদিও গত ১৩ সেপ্টেম্বর তাকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে হাজির হতে বলা হয়। তিনি ওই দিন অসুস্থ থাকায় সময়ের আবেদন করলে গত ২০ সেপ্টেম্বর বুধবার দিন ধার্য করা হয়।

উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার বলেন, আপনারা এলাকায় এসে যে কোন মানুষের কাছে জানতে চাইলেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে তারা কিভাবে হয়রানি হচ্ছেন তা জানতে পারবেন।

নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ হোসেন মোবাইল ফোনে সাংবাদিকদের বলেন, বক্তব্য দেওয়ার কিছু নেই। কেউ মামলা করলে আদালতে বা অভিযোগ করলে তদন্তকারি কর্মকর্তার কাছে তা প্রমাণ করতে হবে। সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে তার নামে মামলা করতে হলে সরকারের অনুমতি লাগবে। যে মামলা করেছে সে অনুমতি নিয়েছেন কি না তা তার (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) জানা নেই। 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত