মহাসড়ক নেটওয়ার্কে স্বস্তি ফিরে এসেছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৯:০২

অনলাইন ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রাষ্ট্রীয় গণপরিবহণ ব্যবস্থার পরিধি বৃদ্ধি পাওয়ায় ও সড়ক পরিবহণ ব্যবস্থায় শৃঙ্খলার উন্নতি ঘটায় মহাসড়ক নেটওয়ার্কে জনসাধারণের যাতায়াতে স্বস্তি ফিরে এসেছে। আওয়ামী লীগ সরকার দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পরিবহণখাতে ধারাবাহিকভাবে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাওয়ায় এই খাতে দৃশ্যমান উন্নতি সাধিত হয়েছে। 

তিনি বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দেয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন।

ঢাকা পরিবহণ সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) এর আয়োজনে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা সম্মিলিতভাবে আগামীকাল শুক্রবার ‘বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস ২০১৭’ উদ্যাপন করবে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘যানজট ও দূষণমুক্ত নগরায়নে প্রয়োজন, গণপরিবহণ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ’।

দিবসটির প্রতিপাদ্য যথার্থ হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বাণীতে বলেন, যানজট নিরসন, বায়ু ও শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং ব্যক্তিগত গাড়ির ওপর নির্ভরতাহ্রাস করার লক্ষ্যে সরকার নগর গণপরিবহণ ব্যবস্থার উন্নয়নে রিভাইজড স্ট্রেটেজিক ট্রান্সফোর্ট প্লান প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন করছে। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকা মহানগরীর যানজট নিরসনে ও ব্যক্তিগত গাড়ির ওপর নির্ভরতাহ্রাসে বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল নির্মাণের কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। ঢাকা মহানগরী ও গাজীপুর মহানগরীর জনসাধারণের দ্রুত যাতায়াতের সুবির্ধাথে বাস রের্পিড ট্রান্সসিট (গাজীপুর-এয়ারপোর্ট) করিডোর নির্মাণের কাজও পূর্ণ গতিতে চলছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আরএসটিপি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এম আরটি লাইন-১ নির্মাণের লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চলমান আছে। এ দু’টি লাইনে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো প্রায় ৩২ কিলোমিটার আন্ডারগ্রাউন্ড এম আরটি বা পাতালরেলের সংস্থান রাখা হয়েছে। ঢাকা মহানগরীতে প্রথমবারের মতো পিডেসট্রিয়ান রোড প্রবর্তনের সুযোগ পরীক্ষানিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে বলেও বাণীতে বলেন তিনি। 

প্রধানমন্ত্রী আশা করেন, গৃহীত পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়িত হলে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারকারীগণ স্বচ্ছন্দে গণপরিবহণে যাতায়াতের মাধ্যমে নিত্যদিনের প্রয়োজন মেটাতে পারবেন এবং নগরীর যানজট ক্রমশ কমে আসবে।

তিনি ‘বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস ২০১৭’-এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।