জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে কার্লভাটের মুখের বাঁধ অপসারণ

প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৮:০৩

সোহাগ লুৎফুল কবির

কালর্ভাটের মুখ বন্ধ করায় বন্যার পানি নামছে না, ১০ হাজার বিঘা আবাদী জমি হুমকির মুখে- এমন সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশের পর বিষয়টি সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কামরুন্নাহার সিদ্দীকার নজরে আসে। এরপর জেলা প্রশাসকে নির্দেশে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস,এম ফেরদৌস ইসলাম কালর্ভাটের মুখ খুলে দেন। এতে চার গ্রামের ১০ হাজার বিঘা জমির জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা পেল।

তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম ফেরদৌস ইসলাম সঙ্গীয় পুলিশ নিয়ে উপজেলার মাগুড়াবিনোদ ইউপির নাদোসৈয়দপুর বাহিরপাড়া গ্রামে গিয়ে কালভার্টের মুখ খুলে দেন। এ সময় সঙ্গে ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান এম আতিকুল ইসলাম বুলবুল।

জানা যায়, উপজেলার মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের নাদোসৈয়দপুর, বিন্নাবাড়ি চরকুশাবাড়ি ও বাহির পাড়া গ্রামের প্রায় ১০ হাজার বিঘা জমি ও শতাধিক বাড়ি ২ মাস ধরে জলাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। নাদোসৈয়দপুর বাহির পাড়া চর এলাকার পানি নিষ্কাশনের জন্য গ্রামে একটি কালভার্ট রয়েছে। যে কালভার্ট দিয়ে বর্ষা বা বৃষ্টির পানি নেমে যায়।

ওই গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক, আবুল কালাম ও সালাম কালভার্টের পানি নিষ্কাশনের মুখ বন্ধ করে রেখে এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করেছে এতে ওই এলাকার কৃষকেরা আবাদ করতে না পারায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কালভার্টের পানি নিষ্কাশনের মুখ বন্ধ করে মাটি ভরাট করায় স্থায়ী এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। যেখানে সামান্য ৩ গজ জায়গার মাটি কেটে দিলে কৃষকের প্রায় ১০ হাজার বিঘা জমির পানি নেমে যাবে। এতে কৃষকরা আগাম জাতের রবি শস্য আবাদ করতে পারবেন।

আব্দুল হাকিমের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক, আবুল কালাম ও সালাম বলেন, আমাদের জায়গায় আমরা মাটি ভরাট করেছি। তাতে সমস্যা কি? মাটি ভরাট করার সময়ে কেউ বাঁধা দেয়নি। এখন বাঁধা দিয়ে কোন লাভ হবে না।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত