টাঙ্গাইলে ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ, সালিশে সমঝোতার চেষ্টা

প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৮:৪২

তপু আহম্মেদ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত ধর্ষক রেজাউল করিম উপজেলার ধুবলিয়া গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে।

এ ঘটনায় ২৪ সেপ্টেম্বর (রবিবার) দুপুরে ধর্ষণের শিকার শিক্ষার্থীর পিতা বাদী হয়ে ভূঞাপুর থানায় ধর্ষক রেজাউল করিমসহ চারজনের নামে মামলা দায়ের করেছেন। 

মামলায় অভিযোগ, উপজেলার সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধুবলিয়া গ্রামের রেজাউল করিম ধর্ষণ করে। এর আগে প্রায় ৬ মাস থেকে ওই শিক্ষার্থীকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল রেজাউল। গত ৫ সেপ্টেম্বর রাতে মোবাইলে ওই শিক্ষার্থীকে বাড়ির বাইরে আসতে বলে। পরে বাড়ির পাশের নির্জনস্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। এসময় মেয়েটির চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে ধর্ষককে আটক করে। পরে ধর্ষকের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ধর্ষণের বিষয়টি স্থানীয় ফলদা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুল ইসলাম তালুকদার দুদুকে জানানো হয়।

ধর্ষণের শিকার শিক্ষার্থীর পিতা জাহিদুল ইসলাম জানান, গত ১৬ সেপ্টেম্বর ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্থানীয় তিন ইউপি চেয়ারম্যান সালিশের আয়োজন করে। সালিশে ধর্ষকের সঙ্গে বিয়ের জন্য ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে। এঘটনায় থানায় মামলা না করার জন্য ধর্ষকসহ তার পরিবার নানাভাবে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। 

ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম কাউছার চৌধুরী জানান, ধর্ষণের ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষকসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনায় চেয়ারম্যানরা সালিশের আয়োজন করেছিল বলে বাদী মামলায় উল্লেখ করেছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত