রামগঞ্জে কাজ না করেই প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৩:৪৮

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায় কাজ না করেই টিআর ও কাবিটা প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। ২২১টি প্রকল্পের মাধ্যমে লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ১ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেন। কিন্তু অধিকাংশ প্রকল্পের কাজ না করে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মো. আবু ইউসুফ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. রোরহান উদ্দিন প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নের জন্য বারবার তাগিদ দিলেও সংশ্লিষ্ট নেতা-কর্মীরা প্রকল্পের কাজ না করায় ক্ষুব্ধ হন। এ জন্য তারা কয়েকটি প্রকল্পের বিল অধ্যবদি বন্ধ রেখেছেন বলে জানিয়েছেন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির অধীনে টেস্ট রিলিফ (কাবিটা ও টিআর) কর্মসূচির ১৫৭টি প্রকল্পের মাধ্যমে ৮৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। এছাড়া আরও ৬৪টি প্রকল্পে ৪৪৫টি সোলার স্থাপনের জন্য ৮৬ লক্ষ টাকায় বরাদ্দ দেয়।

জানা যায়, সোন্দড়া পালকুড়ির বাড়ি থেকে সামছু ম্যানাজার বাড়ির সলিং জন্য দেড় লক্ষ টাকা, দক্ষিণ নারায়নপুর মিয়াজী বাড়ি পাকা রাস্তা হতে মাহবুব মাওলানার বাড়ি পর্যন্ত দেড় লক্ষ টাকা, দক্ষিণ নারায়নপুর মিয়াজী বাড়ি হতে পশ্চিম দিকে রাস্তা সলিং দেড় লক্ষ টাকা, আলামিন বাজারের পশ্চিম দিক হতে আমজাদ হোসেন ভুঁইয়া বাড়ি পর্যন্ত সলিং দেড় লক্ষ টাকা, রাজবাড়ী হতে শ্রীরামপুর হাই স্কুলের রাস্তা সলিং দেড় লক্ষ, নোয়াগাঁও মমিন পাটোওয়ারীর বাড়ির রাস্তায় মাটি ভরাট ৬০  হাজার টাকা বরাদ্দ হয়।

এ ছাড়াও মাছিমপুর, নোয়াগাঁও, হোটাটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাটসহ কয়েকটি নামমাত্র  আংশিক কাজ হলে বেশিরভাগ প্রকল্পগুলোর কোন কাজ করা হয়নি।

৯নং ভোলাকোট ইউনিয়নের মনছুপপুর আঠিয়া বাড়ি থেকে দেহলা সরকার বাড়ি, দেহলা ফরিদ মেম্বারের বাড়ি থেকে গুরুজন পাটোয়ারী পর্যন্ত, পূর্ব দেহলা বৈদ্ধের বাড়ি থেকে নূর আঠিয়া বাড়ি পর্যন্ত, ৬নং লামচর ইউপির মজুপুর গ্রামের আইয়ুব আলী মাষ্টার বাড়ি থেকে খামার বাড়ি পর্যন্ত প্রকল্পগুলো নামে মাত্র ৪/৫ লেবার দিয়ে ১/২ দিন কাজ করে পুরো টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ক কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিন বলেন, যে সমস্ত প্রকল্পে কাজ হয়নি তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে আত্মসাতকৃত টাকা ফেরত নেওয়া হবে।

রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু ইউসুফ জানান, বিভিন্ন স্থানে কাজের কোন অস্তিত্ব না থাকায় অনেকগুলি প্রকল্পের বিল দেওয়া হয়নি। সেগুলো এমপি সাহেবকে অবগত করেছি। আর গত দু’বছর থেকে টিআর-কাবিটার বিষয়ে অনেকগুলি অভিযোগ পেয়েছি। 

স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব লায়ন এম এ আওয়াল বলেন, কাজ না হওয়ার বিষয়টি আমিও শুনেছি। কাজগুলো আদায় করে নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে বলেছি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত