অতিবৃষ্টি ও জোয়ারে কমলনগরে অভ্যন্তরীণ সড়কের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০১৭, ১৩:২৪

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর মেঘনা নদী ভাঙন কবলিত একটি উপজেলা। মেঘনাপাড়ের এই উপজেলায় বেড়িবাঁধ না থাকায় বর্ষা মৌসুমে জোয়ারে কারণে পুরোটা সময় পানিতে ডুবে থাকে।

চলতি বর্ষা মৌসুমে অতিবৃষ্টি ও জোয়ারে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের প্রায় ৮শ’ তালিকাভুক্ত সড়কের ১ হাজার ২৩৫ কিলোমিটার অভ্যন্তরীণ কাঁচা সড়কের কম-বেশি ক্ষতি হয়েছে। তবে বেশ কিছু সড়কের বেহাল দশা। উপজেলার পাটারিরহাট, চর ফলকন, সাহেবেরহাট, চর কালকিনি, চর মার্টিন ও চর লরেন্সসহ প্রায় সব কয়েকটি মেঘনা উপকূলীয় ইউনিয়ন। বেড়ি বাঁধ না থাকায় প্রায় প্রতি বর্ষা মৌসুমে এই জনপদের বিস্তৃর্ণ এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়। এসময় উপকূলীয় বেশির ভাগ রাস্তাঘাট পানির নিচে ডুবে যায়। এতে অভ্যন্তরীণ কাঁচা সড়কগুলো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। 

এদিকে, জোয়ার ছাড়াও অতিবৃষ্টির কারণে উপজেলার চর কাদিরা, তোরাবগঞ্জ ও হাজিরহাট ইউনিয়নের সড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জোয়ার ও অতিবৃষ্টির কারণে রাস্তার দুপাশের মাটি সরে গেছে। রাস্তায় ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে এবং ভেঙে গেছে। এখন সামান্য বৃষ্টিতে পানি-কাঁদা জমে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এতে স্থানীয়রা দুর্ভোগে পড়ে।

কমলনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন (পিআইও) কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলা প্রায় ৮শ’ তালিকাভুক্ত সড়কের প্রায় ১ হাজার ২৩৫ কিলোমিটার রাস্তায় বিভিন্ন সময়ে অতি দরিদ্রদের কর্মসূচি, এলজিএসপি, টিআর, কাবিখা, কাবিটা ও ডানিডার আওতায় নির্মাণ ও সংস্কার কাজ হয়েছে। চলতি মৌসুমের অতিবৃষ্টি ও জোয়ারে বেশিরভাগ রাস্তার ক্ষতি হয়েছে জানিয়ে জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা ও স্থানীয় ভোক্তভোগীরা তালিকা জমা দিচ্ছেন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. বোরহান উদ্দিন জানান, ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের তালিকা করা হচ্ছে। এ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। আশা করি ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত