ওএমএস এর চাল নিয়ে বিপাকে লক্ষ্মীপুরের ডিলাররা

প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০১৭, ১৯:২৫

লক্ষ্মীপুরে ওপেন মার্কেট সেল (ওএমএস) কর্মসূচীর আওতায় পণ্য বিক্রি শুরু হলেও ক্রেতার অভাবে বিপাকে পড়েছেন ডিলাররা। আগে জেলায় প্রতিদিন একজন ডিলার হাজার কেজি সিদ্ধ চাল বিক্রি করলেও এখন তারা ১ বস্তা (৫০ কেজি) চাল বিক্রি করতে পারছেন না।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ওএমএস চালুর সরকারি সিদ্ধান্তের পরপরই জেলার সরকারি গুদামগুলোতে চাল সরবরাহ শুরু হয়। ডিলারদের সঙ্গে চুক্তি শেষে ১৭ সেপ্টেম্বর তারা গুদাম থেকে চাল উত্তোলন করেন এবং ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে বিক্রি শুরু করেন। জেলায় মোট ২২ জন ডিলারকে খোলা বাজারে চাল বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়।

এরমধ্যে সদর উপজেলায় ১২ জন, রায়পুর উপজেলায় ১ জন, রামগঞ্জ উপজেলায় ৩ জন, রামগতি উপজেলায় ৩ জন ও কমলনগর উপজেলায় ৩ জন ডিলার অনুমতি পান। ডিলাররা ৪০ মেট্রিক টন চাল উত্তোলন করলেও ১৬টি ওএমএস কেন্দ্রে সপ্তাহে একদিন বন্ধ রেখে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চাল বিক্রি করেন। এ কর্মসূচীর আওতায় চাল বিক্রি চলবে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত। খাদ্য গুদামে আতপ চাল বর্তমানে ১৫০০ টন মজুদ আছে। এছাড়া বাজার মনিটরিং করতে ডিলারদের প্রতি কেন্দ্রে ২ জন করে কর্মকর্তা নিয়োজিত রয়েছেন।

জানা গেছে, জেলায় ওএমএস কেন্দ্র রয়েছে ১৬টি। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৬টি, রায়পুর উপজেলায় ১টি, রামগঞ্জ উপজেলায় ৩টি, রামগতি উপজেলায় ৩টি ও কমলনগর উপজেলায় ৩টি কেন্দ্র রয়েছে। ডিলাররা সদর উপজেলায় ২৪ মেট্রিকটন, রায়পুর উপজেলায় ১ মেট্রিকটন, রামগঞ্জ উপজেলায় ৬ মেট্রিকটন, রামগতি উপজেলায় ৪ মেট্রিকটন ও কমলনগর উপজেলায় ৫ মেট্রিকটন চাল উত্তোলন করলেও সদর উপজেলায় ১৪ মেট্রিকটন, রায়পুর উপজেলায় ৪০০ কেজি, রামগঞ্জ উপজেলায় ৩.২০০ মেট্রিকটন, রামগতি উপজেলায় ৫০০ কেজি ও কমলনগর উপজেলায় ১ মেট্রিকটন চাল বিক্রি করেন। ক্রেতার অভাবে অবিক্রিত রয়ে গেছে ২০.৯০০ মেট্রিকটন চাল।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা নয়ন জ্যোতি চাকমা জানান, খোলা বাজারে (ওএমএস) কর্মসূচীর আওতায় ডিলারদের একদিনের বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ৮ দিনেও পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। মূলতঃ বাজারে চালের সংকট নেই।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত