পেটে গজ রেখে অপারেশন করায় চিকিৎসককে গ্রেপ্তারের নির্দেশ
প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর ২০১৭, ১৬:৪৫
পটুয়াখালীতে সন্তান প্রসবের সময় রোগীর পেটে গজ রেখেই অপারেশন শেষ করায় কথিত চিকিৎসক রাজন দাসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন হাইকোর্ট।
৬ নভেম্বর (সোমবার) বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ পরোয়ানা জারি করেন। কথিত চিকিৎসক রাজনকে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করতে বলা হয়।
আদালতে পটুয়াখালীর সিভিল সার্জনের পক্ষে দাখিল করা প্রতিবেদনে রাজন দাসের সনদ ভুয়া প্রমাণিত হয়।
এর আগে গত ২৩ জুলাই পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন ও বরিশাল মেডিকেলের গাইনি বিভাগের প্রধানসহ তিনজনকে তলব করেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া পটুয়াখালীর বাউফলের নিরাময় ক্লিনিকের মালিককে হাজির হতে বলা হয়েছে।
গত ২২ জুলাই একটি জাতীয় দৈনিকে ‘সাড়ে তিন মাস পর পেট থেকে বের হলো গজ!’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. শহিদ উল্লা আদালতের নজরে আনার পর রুলসহ হাইকোর্ট আদেশ দেন।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, অস্ত্রোপচারের সাড়ে তিন মাস পর বরিশালে মাকসুদা বেগম (২৫) নামের এক নারীর পেট থেকে গজ বের করা হয়েছে। মুমূর্ষু অবস্থায় ওই নারীকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে।
চিকিৎসকরা বলেন, দীর্ঘদিন পেটের ভেতর গজ থাকায় খাদ্যনালিতে অনেকগুলো ছিদ্র হয়ে গেছে। মাকসুদা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। মাকসুদা পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বিলবিলাস গ্রামের মো. রাসেল সরদারের স্ত্রী। গত মার্চে অস্ত্রোপচার করে মাকসুদা একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। তখন তার পেটে গজ রেখে সেলাই করে দেন চিকিৎসক।
সাহস২৪.কম/জুয়েনা/ আল মনসুর