সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নাগরিক সমাবেশ দুপুরে

প্রকাশ : ১৮ নভেম্বর ২০১৭, ১১:৪০

সাহস ডেস্ক

ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নাগরিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের বিশ্ব স্বীকৃতি উদযাপনে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। 

১৮ নভেম্বর (শনিবার) দুপুরে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। সভাপতিত্ব করবেন নাগরিক কমিটির সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। সমাবেশ শুরু হবে জাতীয় সংগীত, ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ আর বাংলাদেশের ইতিহাসের সেই দিনটি নিয়ে নির্মলেন্দু গুণের কবিতা আবৃত্তির মধ্য দিয়ে।

এ আয়োজনের প্রস্তুতি দেখতে ১৭ নভেম্বর (শুক্রবার) সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, এই সমাবেশ হবে তাদের, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী, যারা বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসেন। এটা কোনো পাল্টাপাল্টি রাজনৈতিক সমাবেশ নয়। কোনো রাজনৈতিক সমাবেশও নয়।

সাড়ে চার দশক আগে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে, সেই ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই (তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান) ৭ কোটি বাঙালিকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি ঘোষণা দেন, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ তার ওই ভাষণের ১৮ দিন পর পাকিস্তানি বাহিনী বাঙালি নিধনে নামলে বঙ্গবন্ধুর ডাকে শুরু হয় প্রতিরোধ যুদ্ধ। নয় মাসের সেই সশস্ত্র সংগ্রামের পর আসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা।

বিভিন্ন দেশের আরও ৭৭টি ঐতিহাসিক নথি ও প্রামাণ্য দলিলের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণকেও গত মাসের শেষে ‘ডকুমেন্টারি হেরিটেজ’ হিসেবে ‘মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে’ যুক্ত করে নেয় ইউনেস্কো। এ স্বীকৃতির উদযাপনেই আজ নাগরিক কমিটির ব্যানারে সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে স্বাধীনতার উদ্যান  সোহরাওয়ার্দীতে, যেখানে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, যেখানে পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্যে দিয়ে লেখা হয়েছিল বাঙালির মুক্তির দলিল।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি ইউনেস্কোর প্রতিনিধির হাতে একটি ধন্যবাদ স্মারকও তুলে দেবেন। সমাবেশে আলোচনা ছাড়াও থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন। সেখানে আবৃত্তি করবেন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরও। বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমির সমবেত সংগীতের পর শুরু হবে একক সংগীত। চন্দনা মজুমদার লোক গান গাইবেন। রবীন্দ্র সংগীত শোনাবেন সংসদ উপনেতা সাজেদা চৌধুরীর ছেলে শিল্পী সাজেদ আকবর। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় থাকবেন অভিনেতা রামেন্দু মজুমদার ও শহীদ বুদ্ধিজীবী আবদুল আলীম চৌধুরীর মেয়ে ডা. নুজহাত চৌধুরী।

সাহস২৪.কম/জুয়েনা

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত