ভূরুঙ্গামারীতে ৭ ভাঙ্গা সেতু

প্রকাশ : ১৮ নভেম্বর ২০১৭, ১২:৫১

শফিউল আলম শফি

কুড়িগ্রামের ভূররুঙ্গামারী উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ ৭টি সেতু মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে প্রতিদিন  হাজার হাজার মানুষ চলাচল করছেন।

উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের দুধকুমর নদের উপর প্রায় ১৩৫ বছরের পুরোনো সোনাহাট রেল সেতুর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে অনেক আগেই। নড়বড়ে সেতুটি যে কোন সময় ভেঙ্গে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বন্ধ হয়ে যেতে পারে সোনাহাট স্থল বন্দরের যাবতীয় কার্যক্রম। চরম দুভোগ পোহাতে হবে পূর্ব পাড়ের ৫ ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষকে।

এছাড়া পাথরডুবী ইউনিয়নের ফুলকুমার নদের উপর নির্মিত থানাঘাট সেতুটি নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করায় তা মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই তিন খণ্ডে খণ্ডিত হয়েছে। এক খণ্ডের সাথে অন্য খণ্ডকে লোহার রড দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। মাস ছয়েক আগে ভাঙ্গা সেতুর পাশে অপর একটি সেতু নির্মাণ শুরু হলেও বিভিন্ন জটিলতার কারণে নির্মানাধীন সেতুটির নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। ফলে ওই ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়েই লোকজন চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে।

একই ইউনিয়নের বাঁশজানি গ্রামের নাউডোর সেতুটি এবারের বন্যায় পুরোপুরি ভেঙ্গে যাওয়ায় বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে জনসাধারণ।

শিলখূঁড়ি ইউনিয়নের উত্তর ধলডাঙ্গায় গদাধর নদের উপর নির্মিত শালঝোড় সেতু ঠিকঠাক দাঁড়িয়ে থাকলেও সংযোগ সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় বাঁশ দিয়ে প্রায় পনের ফুট লম্বা সংযোগ সড়ক নির্মাণ করেছে এলাকাবাসী।

বলদিয়া ইউনিয়নের বলদিয়া স্কুল এন্ড কলেজের পিছন দিকের রাস্তায় নির্মিত সেতুটির দুইপাশে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে চলাচল করছেন এলাকারবাসী। একই ইউনিয়নের বলদিয়া মরা শংকোষ নদীর উপর নির্মিত সেতুর পশ্চিম দিকে এপ্রোচ সহ সংযোগ সড়ক দীর্ঘদিন যাবত ভাঙ্গা থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়  যাতায়াত করছে এলাকার জনসাধারণ। 
বঙ্গ সোনাহাট ইউনিয়নের চর বলদিয়া গ্রামের সড়কের উপর নির্মিত সেতুর এক প্রান্তের সংযোগ সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় এলাকাবাসীকে পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন ভোগান্তি।

জানতে চাইলে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা প্রকৌশলী এন্তাজুর রহমান বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ সেতুগুলোর তালিকা প্রণয়ন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে নির্মাণ করা শুরু করা হবে।

সাহস২৪.কম/রিয়াজ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত