নাসিরনগর হামলায় ২২৮জন আসামি

প্রকাশ : ১১ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৮:৪১

সাহস ডেস্ক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে মন্দিরে হামলা ও ভাংচুরের এক মামলায় ২২৮ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।

১০ ডিসেম্বর (সোমবার) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে।

নাসিরনগর গৌরমন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্মল চৌধুরী বাদী হয়ে দুই থেকে আড়াই হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে এ মামলাটি দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. শওকত হোসেন ২২৮ জনের নাম উল্লেখ করে এ অভিযোগপত্র দেন।

আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. মাহাবুবুর রহমান জানান, জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক ফারজানা আহমেদের কাছে এ অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ০৯ ডিসেম্বর (রবিবার) অভিযোগপত্রের কপি পাওয়া গেলেও বিভিন্ন ত্রুটি থাকায় অভিযোগপত্রটি আদালতে দাখিল করা হয়নি। ত্রুটি সংশোধন এবং অভিযোগপত্রের ব্রিফ তৈরি করে সোমবার দুপুরে বিচারকের কাছে দাখিল করা হয়েছে।

নাসিরনগর উপজেলার হরিণবেড় গ্রামের রসরাজ দাস নামে এক জেলে ফেইসবুকে ধর্ম অবমাননাকর ছবি পোস্ট করেছে অভিযোগ তুলে ২০১৬ সালের ২৯ অক্টোবর তাকে পিটিয়ে পুলিশে দেয় একদল যুবক।

পরদিন (৩০ অক্টোবর) এলাকায় মাইকিং করে উপজেলা সদরে পৃথক দুইটি সমাবেশ থেকে ১৫টি মন্দির, শতাধিক ঘরবাড়িতে ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এরপর ৪ নভেম্বর ভোরে ও ১৩ নভেম্বর ভোরে আবার উপজেলা সদরে হিন্দুদের অন্তত ছয়টি ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে।

দলীয় বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষকে বেকায়দায় ফেলতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাংসদ র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সমর্থকরা এ হামলার নেপথ্যে ছিলেন বলে স্থানীয় নেতাদের ভাষ্য।

নাসিরনগরের এমপি এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হকের সঙ্গে মোকতাদির ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারের দ্বন্দ্বই এ হামলার কারণ হিসেবে উঠে এসেছে।

হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দেওয়ান আতিকুর রহমান আঁখিকে হামলার হোতা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। পরবর্তীতে আঁখিকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

এসব ঘটনায় নাসিরনগর থানায় মোট আটটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাকি সাতটি মামলার তদন্ত এখনও চলছে।

সাহস২৪.কম/খান/আল মনসুর 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত