‘আকায়েদ আমেরিকায় গিয়ে জঙ্গি হয়েছেন’

প্রকাশ : ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৭:৪২

সাহস ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের বাস টার্মিনালে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় অভিযোগের মুখে থাকা বাংলাদেশি যুবক আকায়েদ উল্লাহর বাংলাদেশে অবস্থানের সময় কোনো ধরনের অপরাধ পায়নি পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি, আকায়েদ আমেরিকায় গিয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে থাকতে পারেন।

১৩ ডিসেম্বর (বুধবার) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এসব কথা জানান কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসির) প্রধান মনিরুল ইসলাম।

সিটিটিসির প্রধান বলেন, আকায়েদ বাংলাদেশে থাকার সময় তার সম্পর্কে পুলিশের কাছে কোনো ক্রিমিনাল রেকর্ড নেই। তাই ধারণা করা হচ্ছে, সে হয়তো আমেরিকায় গিয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়েছেন। তিনি বলেন, জিরো টলারেন্সের বাংলাদেশের একজন নাগরিকের এমন কর্মকাণ্ড দুশ্চিন্তার বিষয়। তাই এই ঘটনা অধিক গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।

মার্কিন প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত ১১ ডিসেম্বর (সোমবার) সকালে ম্যানহাটন পোর্ট অথরিটি বাস টার্মিনালে শরীরে বাঁধা বোমার বিস্ফোরণ ঘটান আকায়েদ উল্লাহ। এতে তিনি নিজে এবং আরো তিনজন আহত হন। ১২ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) প্রসিকিউশন আকায়েদের বিরুদ্ধে ফেডারেল আদালতে অভিযোগ দায়ের করে। এর মধ্যে রয়েছে বিদেশি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে সহায়তা দেওয়া এবং জনবহুল এলাকায় অস্ত্র ও বোমার ব্যবহার। আকায়েদ বাংলাদেশি। ২০১১ সালে অভিবাসী ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে যান তিনি। নিউইয়র্কের ব্রুকলিন এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন আকায়েদ। নিউইয়র্কে ভাড়ায় গাড়ি চালাতেন তিনি। তবে সম্প্রতি তার লাইসেন্সের মেয়াদোত্তীর্ণ হয়।

এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের সিটিটিসির প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন,  মঙ্গলবার আকায়েদের স্ত্রী ও শ্বশুর-শাশুড়িকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের কাছে থেকে জানা গেছে, আকায়েদ ২০১১ সালে পরিবারের সঙ্গে আমেরিকায় গিয়েছে। তখন তিনি ঢাকা সিটি কলেজের বিবি এর ছাত্র ছিলেন।

বাংলাদেশে আসার পর আকায়েদ কাদের সঙ্গে মিশেছিলেন, এ দেশে তার কোনো সহযোগী আছে কি না বা জঙ্গিবাদে জড়িত এমন কারোর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান মনিরুল।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, আকায়েদ তার স্ত্রীকে বেশি বেশি করে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের নেতা জসীমুদ্দীন রহমানীর বই-পুস্তক পড়ার জন্য উৎসাহিত করতেন বলেও তার পরিবার জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে।

অপরাধ যেহেতু নিউইয়র্কে হয়েছে, তাই নিউইয়র্ক পুলিশ বা যুক্তরাষ্ট্রের কোনো তদন্ত সংস্থা সহায়তা চাইলে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তা করা হবে বলে জানায় পুলিশ।

মনিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের সঙ্গে আমেরিকান এমবাসি, এফবিআইসহ নানা সংগঠনের সঙ্গে কাজ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে তারা যদি আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো অনুরোধ পাঠায়, তাহলে আমাদের মধ্যে যে লিগ্যাল ট্রিটি রয়েছে, সেই অনুসারে তারা কোনো সহযোগিতা চাইলে আমরা তাদের সহযোগিতা করব। 
সাহস২৪.কম/জুয়েনা

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত