আগামীকাল শুরু হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব

প্রকাশ : ১১ জানুয়ারি ২০১৮, ১২:১০

সাহস ডেস্ক

টঙ্গীর তুরাগ তীরে আগামীকাল শুক্রবার শুরু হচ্ছে ৫৩তম বিশ্ব ইজতেমা। মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ ধর্মীয় গণজমায়েতকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বলয়। সিসিটিভি, ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ ও নানা নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা ছাড়াও পুলিশ ও র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এরই মধ্যে ইজতেমা ময়দানে অবস্থান নিয়েছেন। 

আসছেন দেশ-বিদেশের লাখো মুসল্লি। তাদের ইজতেমা ময়দানে সমবেত ও ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা টঙ্গীকে রূপ দিয়েছে ধর্মীয় নগরীতে। শুক্রবার বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে ৫৩তম বিশ্ব ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের ইজতেমার প্রথম পর্ব।

সরেজমিনে দেখা গেছে, তবলিগ জামাতের উদ্যোগে তুরাগতীরে নির্মাণ করা হয়েছে বিশাল শামিয়ানা। রাস্তাঘাট মেরামত, মাঠ সমতল করাসহ নানা প্রস্তুতিমূলক কাজ এরই মধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। ময়দানের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে প্রস্তুত রয়েছে বিদেশিদের জন্য আলাদা নিবাস। তাদের থাকা, খাওয়া ও অবস্থানে যেন কোনো ধরনের সমস্যা না হয়, সেজন্য ইজতেমার নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবকরা দিনরাত কাজ করছেন। তাদের রান্নাবান্নার জন্য গ্যাস সংযোগ, বিদ্যুৎ সংযোগসহ সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এবারের ইজতেমায় ৩২ জেলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে লাখো মুসল্লি অংশগ্রহণ করবেন। ইজতেমায় আগত এসব মুসল্লির সুবিধার্থে গভীর নলকূপ থেকে পানি সরবরাহ, স্থায়ী টয়লেট ও সার্বক্ষণিক বিদ্যুতের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ময়দানের পশ্চিম প্রান্তে বয়ানমঞ্চ, দোয়া মঞ্চ, তুরাগ নদীতে ভাসমান সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।

বিশ্ব ইজতেমার মুরব্বি প্রকৌশলী গিয়াসউদ্দিন জানান, পুলিশ প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনসহ সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপ সন্তোষজনক। এবার প্রথম পর্বে ঢাকা, পঞ্চগড়, নীলফামারী, শেরপুর, নারায়ণগঞ্জ, গাইবান্ধা, নাটোর, মাদারীপুর, লক্ষ্মীপুর, ঝালকাঠি, ভোলা, মাগুরা ও নোয়াখালীর মুসল্লিা অংশ নেবেন। 

আসছেন দেশ বিদেশের লাখো মুসল্লি : দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইজতেমা ময়দানে এরই মধ্যে মুসল্লিদের আগমন শুরু হয়েছে। বাস, মিনিবাস, ট্রেনে চড়ে দলে দলে আসছেন মুসল্লিরা। এ ছাড়া ভারত, পাকিস্তান, সৌদি আরব, মরক্কো, সুদান, মিসর, ইরাক, ইরানসহ অন্তত ১৩৫ দেশের মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে আসতে শুরু করেছেন। এসব দেশ থেকে এবার সহস্রাধিক মুসল্লি অংশ নেবেন বলে আশা আয়োজকদের।

গাজীপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ বলেন, ইজতেমা উপলক্ষে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। গত ইজতেমায় সাড়ে পাঁচ হাজার পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করেছিল। এবার সাত হাজার পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। এ ছাড়াও সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। ইজতেমা ময়দান ও এর আশপাশের এলাকায় ৪১ সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। 

এ সিসি ক্যামেরাগুলো স্থায়ীভাবে স্থাপন করা হয়েছে। যাতে সারা বছর ইজতেমা ময়দানের আগত তবলিগ জামাতের মুসল্লিদের নিরাপত্তার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা যায়। গত বারের মতো এবারেও ইজতেমায় ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে। এ ছাড়া বিদেশি মেহমানখানায় সাদা পোশাকে পুলিশ কাজ করবে।

সাহস২৪.কম/আল মনসুর 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত