ভোক্তা অধিকার সম্পর্কে জানে না ক্রেতা, লাভবান অসাধু ব্যবসায়ী

প্রকাশ : ১৪ জানুয়ারি ২০১৮, ১৮:১২

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরা আশাশুনি উপজেলায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে এবং খাদ্যে ভেজাল রোধ ও পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নেই কোন কার্যক্রম। আশাশুনি উপজেলার সাধারণ মানুষের অনেকেই ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন সম্পর্কে জানেন না।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী কোনো অসাধু ব্যবসায়ী ভোক্তাকে ঠকালে শুধু শাস্তি পাবেন না, বরং ভোক্তা অভিযোগ করে ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি আদায়কৃত জরিমানার টাকার অংশ পাবেন। এই আইনটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে- ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ও উন্নয়ন, ভোক্তা অধিকারবিরোধী কার্য প্রতিরোধ, ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘনজনিত অভিযোগ নিষ্পত্তি, নিরাপদ পণ্য বা সেবা পাওয়ার ব্যবস্থা, কোনো পণ্য বা সেবা ব্যবহারে ক্ষতিগ্রস্ত ভোক্তাকে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা, পণ্য বা সেবা ক্রয়ে প্রতারণা রোধ, ভোক্তা অধিকার ও দায়িত্ব সম্পর্কে গণসচেতনতা সৃষ্টি।

উপজেলার বিভিন্ন হাটে বাজারে মিষ্টির দোকান, মাছ মাংসের দোকান, মুদিখানা দোকান, পাইকারি ও খুচরা খাদ্যসামগ্রী বিক্রয়ের দোকানে দেখা যায়, ওজন দেওয়ার সময় মোটা কাগজে প্রস্তত মিষ্টির বাক্স অথবা মোটা কাগজে প্রস্তত ঠোঙ্গাসহ ওজন দেওয়া হয়। বাক্স বা ঠোঙ্গার ওজনের কারণে ক্রেতা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এর প্রতিবাদ করতে গেলে ভোক্তাকে অপমানিত হতে হয়। প্রায়ই প্রতিশ্রুতি পণ্য বা সেবা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সঠিকভাবে সেবা প্রদানে অবহেলা, দায়িত্বহীনতা বা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সঠিক সেবা না দেওয়ায় দ্বন্দ্ব, সংঘাত, মারামারি ঘটছে।

ক্রেতা যদি কোনো পন্য বাকিতে, বা কিস্তিতে কিনে থাকেন তবুও তিনি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের আওতাভুক্ত হবেন।  আশাশুনির প্রত্যন্ত অঞ্চলের ব্যাপক জনগোষ্ঠী ভোক্তা অধিকার সম্পর্কে জানেই না।

সাহস২৪.কম/রিয়াজ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত