যৌথভাবে কাজ করবে একটি বাড়ি একটি খামার ও এটুআই

প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০১৮, ২১:০২

সকলের জন্য যথোপযুক্ত কর্মসংস্থান নিশ্চিতকরণ ও মাথাপিছু রেমিটেন্স বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামের গ্রামীণ যুবক-যুবতীদের দক্ষতা উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হলো ‘কর্মসংস্থানের জন্য দক্ষতা’।

এ প্রক্ষিতে ১৭ জানুয়ারি বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়স্থ এসএসএফ ব্রিফিং রুমে এটুআই প্রোগ্রামের সাথে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প -এর একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) এবং এটুআই প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক কবির বিন আনোয়ার এবং একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) আকবর হোসেন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত একটি কর্মসূচি।

এ সমঝোতা স্মারকের আওতায়, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের ৩ লক্ষ উপকারভোগীর জন্য বিভিন্ন কৃষিজ ট্রেডে প্রশিক্ষণ দিয়ে আত্ম-কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরী করা হবে। যে সকল ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে তা হলো হাঁস-মুরগি পালন, গবাদি পশু পালন, মৎস্য চাষ ও নার্সারি। এটুআই প্রোগ্রাম থেকে প্রয়োজনীয় কোর্স মডিউল প্রণয়ন, প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ প্রদান, রিসোর্স পুল তৈরী, ওরিয়েন্টেশন প্রদান, স্থানীয় কারিগরি ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্ক স্থাপন এবং বেইজলাইন ও ইমপ্যাক্ট স্টাডি করা হবে। পাশাপাশি ট্রেডসমূহকে অনলাইনে রূপান্তর করে ই-লার্নিং প্লাটফর্ম ‘মুক্তপাঠ’-এ আপলোড করা হবে, যাতে করে প্রশিক্ষণ পরবর্তী সময়ে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে গিয়ে প্রশিক্ষণার্থীরা প্রয়োজনীয় কনটেন্ট দেখতে পারেন।

একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প প্রশিক্ষণার্থী নির্বাচন, বিভিন্ন ট্রেড ভিত্তিক দক্ষতা উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সমন্বয়, জরিপ পরিচালনা, স্থানীয় দক্ষতা উন্নয়ন সংস্থার সাথে সংযোগ স্থাপন ইত্যাদি বিষয়ে কাজ করবে। এটুআই প্রোগ্রামের স্কিলস পোর্টাল (দক্ষতা বাতায়ন)-এর মাধ্যমে এ দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রমসমূহ নিয়মিত মনিটরিং করা হবে। এ উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে দেশের গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর আয় বৃদ্ধি পাবে, যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি)-1 (দারিদ্রতা থেকে মুক্তি), 8 (যথোপযুক্ত কর্মসংস্থান এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি) ও ১০ (বৈষম্যতা হ্রাস) অর্জনে সহায়তা করবে। এর ফলে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্র ও ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের রাষ্ট্রে পরিণত হবে।

‘সমাজের কোন অংশকে বাদ দিয়ে উন্নয়ন নয়’-মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যকে মূলমন্ত্র ধরে এটুআই প্রোগ্রাম কতৃক নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে শিল্প-প্রতিষ্ঠানের সাথে এপ্রেনটিচশিপ (শিক্ষানবিশি)-এর মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন, সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য তৈরি পোশাক বিষয়ক দক্ষতা ও কর্মসংস্থান, উপবৃত্তিপ্রাপ্ত দরিদ্র শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়ন, সাধারণ শিক্ষার সাথে কারিগরী শিক্ষার সমন্বয়, ট্যুরিজম এ্যান্ড হসপিটালিটি বিষয়ক দক্ষতা উন্নয়ন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের দক্ষতার চাহিদা নিরূপণ, মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনগণের জন্য ইমাম বাতায়ন, কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীর জন্য দক্ষতা উন্নয়ন এবং বিদেশ গমনেচ্ছুদের জন্য দক্ষতা উন্নয়ন প্রোগ্রাম উল্লেখযোগ্য। ইতোমধ্যে এটুআই প্রোগ্রামের উদ্যোগের মাধ্যমে প্রায় ৪০,০০০ এর বেশী যুবককে বিভিন্ন কারিগরি ও বৃত্তিমূলক ট্রেডে প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মে নিযুক্ত করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রামের পলিসি স্পেশালিস্ট আসাদ-উজ-জামান, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের উপ প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) প্রণব কুমার ঘোষ এবং এটুআই ও একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সাহস২৪.কম/রিয়াজ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত