ছাদে উচ্চ স্বরে গান, প্রতিবাদ করায় প্রাণ গেল বৃদ্ধের

প্রকাশ : ২০ জানুয়ারি ২০১৮, ১২:৪৯

সাহস ডেস্ক

রাজধানীর আরকে মিশন রোডে গায়েহলুদের অনুষ্ঠানে উচ্চ স্বরে গান বাজানোকে কেন্দ্র করে প্রাণ দিতে হলো এক বৃদ্ধকে। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে আটক করেছে।

নিহত মো. নাজমুল হক (৬৫) একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা। তিনি পরিবার নিয়ে আর কে মিশন রোডের ৪৪ নম্বর বাড়ির নবমতলায় থাকতেন।

ওই বাসার ছাদের ‘কমিউনিটি হলে’ বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে একটি গায়েহলুদের অনুষ্ঠানে উচ্চ স্বরে গান বাজানো হচ্ছিল।

নাজমুল হকের ছেলে বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা জে এম নাসিমুল হক বলেন, তার বাবা নাজমুল হক হৃদরোগে আক্রান্ত এবং তার একবার বাইপাস সার্জারিও হয়েছিল। রাতে বাসার ছাদে ফ্ল্যাট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেনের ভাতিজা হৃদয়ের গায়েহলুদের অনুষ্ঠান চলছিল। অনুষ্ঠানে এত জোরে গান বাজানো হচ্ছিল যে তাঁদের ফ্ল্যাটের জানালা ও মেঝে কাঁপছিল । তার অসুস্থ বাবা ঘুমাতে পারছিলেন না। তখন তিনি নিচে গিয়ে কেয়ারটেকারকে বিষয়টি বললে আলতাফ হোসেন এসে রূঢ় আচরণ করেন। তবে কিছুক্ষণ পরে গান বন্ধ হয়ে যায়।

নাসিমুল বলেন, এর জের ধরে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আলতাফ হোসেন, তার স্ত্রী, ভাতিজা হৃদয় এবং আরও সাত-আটজন নিচে জড়ো হন। তারা তখন কেয়ারটেকারকে দিয়ে তাকে নিচে ডেকে আনেন। তার সঙ্গে তার বাবা, বোন ও স্ত্রীও নিচে নামেন। নামার সঙ্গে সঙ্গেই আলতাফ হোসেন, হৃদয়সহ অন্যরা তার ওপর হামলা করেন। তার বাবা তখন থামাতে গেলে সবাই মিলে তাকেও মারতে থাকেন। একপর্যায়ে তার বাবা মাটিতে পড়ে যান। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ওয়ারী অঞ্চলের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. সোহেল রানা বলেন, বাসার সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ এবং মৃত নাজমুল হকের ছেলে ও মেয়ের সঙ্গে তাদের কথা হয়েছে। গায়েহলুদের অনুষ্ঠানে উচ্চ স্বরে গান বাজানোকে কেন্দ্র করেই তারা প্রথমে নাজমুল হকের ছেলে নাসিমুল হকের ওপর চড়াও হন। পরে নাজমুল হক ঠেকাতে গেলে তার ওপরও চড়াও হন। আট থেকে দশজন মারামারিতে অংশ নেয়।

সোহেল রানা বলেন, ‘আমাদের ধারণা, ইনটেনশনালি তারা প্রস্তুত হয়েই ছিল। শারীরিক অ্যাসলটের পরেই হয়তো বৃদ্ধ মানুষ পড়ে গেছেন। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।’
সাহস২৪.কম/আল মনসুর 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত