গার্মেন্টের নিরাপত্তা উন্নয়নে ডলার দেবে বিদেশি ক্রেতা

প্রকাশ | ২৩ জানুয়ারি ২০১৮, ১৫:০০

অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশের দেড়শ গার্মেন্ট কারখানার ভবন ও অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নে আন্তর্জাতিক একটি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ২৩ লাখ ডলার পরিশোধ করতে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছে শ্রমিক সংগঠনগুলোর দুটি আন্তর্জাতিক জোট। তবে সমঝোতার শর্ত অনুযায়ী শ্রমিক ইউনিয়নগুলো ওই ব্র্যান্ডের নাম প্রকাশ করেনি।  

রয়টার্সের এক প্রতিবেদন বলা হয়, ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্লোবাল ইউনিয়ন এবং ইউএনআই গ্লোবাল ইউনিয়নের সঙ্গে হেগের আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে মামলা চলার পর আন্তর্জাতিক ওই পোশাক ব্র্যান্ড অর্থ পরিশোধে সম্মত হয়।  

প্রতিবেদনে থেকে আরও জানা যায়, কারখানার কর্মপরিবেশের উন্নয়নে কোনো আন্তর্জাতিক পোশাক ব্র্যান্ডের অর্থ দেওয়ার অন্যতম বড় ঘটনা এটি। এই সমঝোতাকে একটি বড় বিজয় হিসেবে দেখছে শ্রমিক সংগঠনগুলো। 

২০১২ সালে তাজরীন ফ্যাশনসে আগুন ও ২০১৩ সালে সাভারে রানা প্লাজা ধসে সহস্রাধিক কর্মীর মৃত্যুতে বাংলাদেশের পোশাক কারখানার কর্মপরিবেশ এবং শ্রমিকদের স্বল্প মজুরির বিষয়টি নতুন করে সামনে আসে। এতে যেসব আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড বাংলাদেশ থেকে সস্তায় পোশাক বানিয়ে ধনী দেশগুলোতে মোটা দামে বিক্রি করছে, তারাও চাপের মুখে পড়ে। এ সময় তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের কর্মপরিবেশের উন্নয়ন, অগ্নি ও ভবন নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমিয়ে আনতে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড ও ট্রেড ইউনিয়নগুলোর মধ্যে তখন একটি আইনি বাধ্যবাধকতার চুক্তি হয় যা ‘বাংলাদেশ অ্যাকর্ড ফর ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি’ নামে পরিচিত।

অ্যাকর্ডের আওতাতেই শ্রমিক ইউনিয়নগুলো ২০১৬ সালে হেগের আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে ওই আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের বিরুদ্ধে মামলা করে। অভিযোগ, আন্তর্জাতিক ওই কোম্পানি বাংলাদেশের যেসব কারখানা থেকে পোশাক কেনে, কর্মীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মত অর্থ তারা সেসব গার্মেন্টকে দেয়নি। কারখানাগুলোতে ফায়ার অ্যালার্ম বা পানি ছিটানোর ব্যবস্থা না থাকাসহ নানা ধরনের নিরপত্তা ত্রুটির তালিকা হেগের আদালতে তুলে ধরে ইউনিয়নগুলো। দুই বছর মামলা চলার পর সমঝোতায় আসতে সম্মত হয় ওই আন্তর্জাতিক কোম্পানি।  

সাহস২৪.কম/জুয়েনা/আল মনসুর