আগামীকাল ভোলায় স্বাধীনতা জাদুঘর উদ্বোধন

প্রকাশ : ২৪ জানুয়ারি ২০১৮, ১৭:২৭

সাহস ডেস্ক

ভোলা জেলার সদর উপজেলার বাংলাবাজার এলাকায় নবনির্মিত স্বাধীনতা জাদুঘর আগামীকাল বৃহস্পতিবার উদ্বোধন করা হবে। 

‘তোফায়েল আহমেদ ট্রাস্টি বোর্ড’র উদ্যোগে নির্মিত এই স্বাধীনতা জাদুঘরের উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ২০১৫ সালের মার্চে এ জাদুঘরটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

প্রায় এক একর জমির উপর নির্মিত জাদুঘরটির নকশা করেছেন বিশিষ্ট স্থপতি ফেরদৌস আহমেদ। 

এ ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘ভোলার বাংলাবাজার আমার জন্মস্থান। আমার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিলো এখানে স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে একটি জাদুঘর নির্মাণের। গত কয়েক বছর ধরে জাদুঘরটির নির্মাণ কাজ করা হয়। আগামী ২৫ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ জাদুঘরটি উদ্বোধন করবেন।’ 

বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, নতুন এই জাদুঘরে ব্রিটিশ শাসন বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস, ৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৬২’র ছাত্র আন্দোলন, ৬৬’র ছয়দফা, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ৭০’র নির্বাচন, ‘৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধসহ এ সম্পর্কিত সম্পূর্ণ ইতিহাস এখানে সংরক্ষণ করা হয়েছে।

মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে জাদুঘরটি স্থাপন করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভিডিও আকারে দর্শনার্থীরা এসব উপভোগ করতে পারবেন। এখানে রয়েছে ঐতিহাসিক বিভিন্ন দুর্লভ ছবি।’

‘তোফায়েল আহমেদ ট্রাস্ট্রি বোর্ড’-এর মহাসচিব মইনুল হোসেন বিপ্লব বলেন, তিন তলা বিশিষ্ট জাদুঘরটির প্রথম তলায় প্রদর্শনীর জন্য থাকছে ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় বঙ্গভঙ্গ, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, দেশভাগ ও ৫২ এর ভাষা আন্দোলন’র ইতিহাস।

তিনি জানান, দ্বিতীয় তলাকে সাজানো হয়েছে ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়ে স্বাধীনতার ইতিহাসের আলোকে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান বাহিনীর আত্মসমর্পণসহ সকল লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস রয়েছে।

এছাড়াও তৃতীয় তলায় রয়েছে স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন, সংগ্রাম ও অর্জনের কালের সাক্ষী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল আহমেদের সংগ্রামী অভিযাত্রার কথা।

স্বাধীনতা জাদুঘর সূত্র জানায়, এই জাদুঘরে এসে দর্শনার্থীরা মুক্তিযুদ্ধের বই পড়ার সুযোগ পাবেন। নিয়মিত মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র প্রদর্শন ও সেমিনারের আয়োজন করার জন্য রয়েছে অডিও ভিজ্যুয়াল সুবিধাসহ একটি আধুনিক মিলনায়তন।

জাদুঘরটিতে মুক্তিযুদ্ধের একটি আর্কাইভ থাকবে। যার কাজ এখনো চলমান রয়েছে। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশের লক্ষ্যে জনগণকে সম্পৃক্ত করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে এই জাদুঘর। আগামীকাল বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ জাদুঘরটি উদ্বোধনের পরেই সকলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে স্বাধীনতা জাদুঘর।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত