রূপা ধর্ষণ ও হত্যায় ৪ জনের ফাঁসি

প্রকাশ : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১১:৩৮

সাহস ডেস্ক

টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে ঢাকার আইডিয়াল ল’ কলেজের শিক্ষার্থী জাকিয়া সুলতানা রূপা ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ৪ জনের ফাঁসি ও একজনের সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) টাঙ্গাইল অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ নং আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো, ছোঁয়া পরিবহনের হেলপার শামিম (২৬), আকরাম (৩৫ ) , জাহাঙ্গীর (১৯) এবং চালক হাবিবুর (৪৫)। আর বাসের সুপারভাইজার সফর আলীকে (৫৫) ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি এই মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। সেদিন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আসামিদের প্রত্যেককে নির্দোষ দাবি করেন এবং তাদের বেকসুর খালাস চান। ৩১ জানুয়ারি যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষ।

উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রুপাকে চলন্ত বাসে গণধর্ষণ করে পরিবহণ শ্রমিকরা। বাসেই তাকে হত্যার পর মধুপুর উপজেলায় পঁচিশ মাইল এলাকায় বনের মধ্যে রুপার মৃতদেহ ফেলে রেখে যায়। এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ওই রাতেই অজ্ঞাত পরিচয় নারী হিসেবে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে। পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে রুপার মৃতদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মধুপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।

পত্রিকায় প্রকাশিত ছবি দেখে তার ভাই হাফিজুর রহমান মধুপুর থানায় গিয়ে ছবির ভিত্তিতে তাকে শনাক্ত করেন। গত ১৫ অক্টোবর এ মমলার তদন্তকারী কর্মকর্তা টাঙ্গাইল বিচারিক হাকিম আদালতে ৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

অভিযোগপত্র দাখিলের পর দিন ১৬ অক্টোবর মামলাটি বিচারের জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বদলী করা হয়। গত ২৫ অক্টোবর আদালত এ অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।

২৮ আগস্ট এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ময়মনসিংহ-বগুড়া সড়কের ছোঁয়া পরিবহনের হেলপার শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (১৯) এবং চালক হাবিবুর (৪৫) ও সুপারভাইজার সফর আলীকে (৫৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা প্রত্যেকেই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলার আসামিরা প্রত্যেকেই এখন টাঙ্গাইল কারাগারে রয়েছে।

সাহস২৪.কম/আল মনসুর 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত