নতুন বিদ্যালয় জাতীয়করণ হবে না : গণশিক্ষা মন্ত্রী

প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, এ মুহূর্তে নতুন কোনো বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করার পরিকল্পনা সরকারের নেই।

জাতীয় সংসদে জিয়াউল হক মৃধার ১২ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী জানান, ২০১৩ সালের পহেলা জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী দেশের সব রেজিস্টার্ড, এমপিওভুক্ত এবং আবেদিত ২৬ হাজার ১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পার্বত্য জেলায় ইউএনডিপি পরিচালিত ২ হাজার ৩১০টি বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়। বর্তমানে এসব ঘোষিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এর বাইরে নতুন কোনো বিদ্যালয় জাতীয়করণের পরিকল্পনা সরকারের নেই।

একই সংসদ সদস্যের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, দেশের যেসব উপজেলায় কোনো সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ নেই, যেসব উপজেলায় একটি করে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও একটি কলেজ সরকারিকরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সে আলোকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কার্যক্রম চলছে। এমনকি দেশের সব বেসরকারি শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণের পরিকল্পনাও আপাতত সরকারের নেই।

একেএম মাঈদুল ইসলামের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সারা দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোয় গত বছরের অক্টোবর পর্যন্ত প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে ২০ হাজার ৮৪৭টি। যার মধ্যে ঢাকা মহানগর, ভোলা, লক্ষ্মীপুর এবং মেহেরপুর জেলায় ৩৯৪ জন শিক্ষককে প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া নেত্রকোনা, কুষ্টিয়া ও ঠাকুরগাঁও জেলায় প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্ব প্রদানের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। পদগুলো পূরণের কার্যক্রম চলছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয় বার্ষিক জরিপ ২০১৭ অনুযায়ী দেশে বর্তমানে ২৫ ধরনের প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। যার সংখ্যা এক লাখ ৩৩ হাজার ৯০৭টি। এসব বিদ্যালয়ে ৫ লাখ ৫৭ হাজার শিক্ষক কর্মরত আছেন। যার মধ্যে ৩ লাখ ৫১ হাজার ৮৬৩ জন মহিলা শিক্ষক। অর্থাৎ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬৩ দশমিক ১৭ শতাংশই মহিলা শিক্ষক কর্মরত। তিনি আরও জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ বাৎসরিক ১০ কোটিরও অধিক টাকা সরকারের ব্যয় হয়।

সাহস২৪.কম/জুয়েনা/আল মনসুর