আজ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন

প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০১৮, ১২:৪৭

সাহস ডেস্ক

যার জন্ম না হলে বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্ম হতো না, সেই ধন্যপুরুষের জন্মদিন আজ। আবারও ফিরে এসেছে সেই ১৭ মার্চ। যেদিন টুঙ্গিপাড়ার নিভৃত এক পল্লীতে।

এমন একজনের জন্ম হয়েছিল, যার হাত ধরে বাঙালি জাতি দীর্ঘ সংগ্রামের পথপরিক্রমায় ২শ' বছরের পরাধীনতার নাগপাশ ছিন্ন করেছিল; পেয়েছিল স্বাধীনতার স্বাদ, বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষে এক স্বাধীন-সার্বভৌম ভূখণ্ডের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার।

সেই মহান পুরুষ স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় সম্ভ্রান্ত শেখ পরিবারে তার জন্ম। জাতি দিনটিকে একই সঙ্গে 'জাতীয় শিশু দিবস' হিসেবেও উদযাপন করবে।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন।

শেখ মুজিবুর রহমান কিশোর বয়সেই সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। গোপালগঞ্জের মিশন স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে তৎকালীন ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যোগদানের কারণে প্রথমবার কারাবরণ করেন। ১৯৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান এবং ১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচন ও মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে পরিণত হন। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে যখন অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে পরিচালিত করছিলেন, তখনই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট একদল বিপথগামী সেনা কর্মকর্তার হাতে সপরিবারে নিহত হন তিনি। বাণী বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এক বাণীতে বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের চিরন্তন প্রেরণার উৎস। তার কর্ম ও আদর্শ চিরকাল আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবে।’ তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কেবল বাঙালি জাতির নন, তিনি বিশ্বে নির্যাতিত, নিপীড়িত ও শোষিত মানুষের স্বাধীনতার প্রতীক, মুক্তির দূত।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেন, ‘আসুন, দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব শিশুদের কল্যাণে আমাদের বর্তমানকে উৎসর্গ করি। সবাই মিলে জাতির পিতার অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলি। আজকের দিনে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।’

কর্মসূচি

দিবসটি উপলক্ষে সকাল সাড়ে ছয়টায় বঙ্গবন্ধু ভবন ও দেশব্যাপী দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল সাতটায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে রক্ষিত প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। সকাল ১০টায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের প্রতিনিধিদল টুঙ্গিপাড়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন। বাদ জোহর দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে অংশগ্রহণ করবে প্রতিনিধিদল। এ ছাড়া সেখানে শিশু সমাবেশ, গ্রন্থমেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল রবিবার বেলা তিনটায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিদেশে বাংলাদেশি দূতাবাসে দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় উদ্‌যাপন করা হবে। রাজধানীসহ সারা দেশে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের রেকর্ড বাজানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং অন্যান্য উপাসনালয়ে প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বিভিন্ন বেসরকারি টিভি চ্যানেল দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে। জাতীয় দৈনিকগুলো প্রকাশ করেছে বিশেষ ক্রোড়পত্র।

সাহস২৪.কম/আল মনসুর 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত