মির্জাপুরে ড্রেজার ও ভ্যেকু দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন

প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০১৮, ১৪:৩৪

তপু আহম্মেদ

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বংশাই নদীতে দু’টি ড্রেজার ও নদীর তীরে ভ্যেকু বসিয়ে চলছে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চলছে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন। এর ফলে নদীর তীরবর্তী এলাকায় তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গনে নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে বাড়ি-ঘর ও ফসলি জমি। বালু উত্তোলনে স্থানীয় সংসদ সদস্য একাব্বর হোসেনের পিএস এবং উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক শামিম আল মামুন সরাসরি জড়িত থাকায় কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না।

আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের প্রভাবশালী নেতারা সিন্ডিকেট করে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। কেউ প্রতিবাদ করলে তাদেরকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সোমবার মির্জাপুর উপজেলার বংশাই নদীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, একটি প্রভাবশালী মহল বংশাই নদীতে ড্রেজারমেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে ড্রামট্রাক দিয়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছে।

মাটি উত্তোলন সিন্ডিকেটের সদস্যদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, আপনাদের যা জানার এমপি সাহেবের পিএস শামিম আল মামুনের কাছ থেকে জানুন। এ ব্যাপারে আমরা কোন কিছু জানি না।

অবৈধভাবে বালু ও মাটি উত্তোলনের ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য একাব্বর হোসেন এর পিএস উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক শামিম আল মামুন বলেন, আমি কোন বালু বা মাটি উত্তোলন করছি না। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহসাড়ক চার লেনে উন্নিত করার সময় বেশ কিছু মাটি আমি সেখান থেকে কিনে দিয়েছি। তবে আমি বালু ও মাটি কাটার সাথে জড়িত না।

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাজাহান সিরাজ জানান, নদী খননের কোনো নির্দেশনা আমরা পাইনি। বংশাই নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলনের বিষয়ে আমরা কিছু জানি না। তাছাড়া এসব বিষয় স্থানীয় প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন তদারকি করে থাকে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সরকারি নির্দেশনার বাইরে কিছু করে না।

মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত সাদনান জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এখন জানলাম। প্রাথমিক তদন্তের পর ওই বংশাই নদীতে দ্রুত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হবে।

সাহস২৪.কম/রিয়াজ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত