নীলফামারীতে কালবৈশাখীতে নিহত ৭

প্রকাশ : ১১ মে ২০১৮, ১৫:৩০

সাহস ডেস্ক

নীলফামারীর ডোমার ও জলঢাকা উপজেলায় কালবৈশাখীতে গাছ ও ঘর ভেঙে পড়ে মা-মেয়েসহ সাতজন নিহত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১০মে) রাত আটটার দিকে ওই ঝড়ে আহত হয়েছে কমপক্ষে ৫০ জন। এদের মধ্যে ডোমার উপজেলায় চারজন, জলঢাকা উপজেলায় তিনজন নিহত হয়। 

নিহত ব্যক্তিরা হলো জলঢাকা উপজেলার ধর্মপাল ইউনিয়নের খচিমাথা গ্রামের আলম হোসেনের স্ত্রী সুমাইয়া বেগম (৩০) ও তার তিন মাসের মেয়ে, মীরগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব শিমুলবাড়ি গ্রামের মমিনূর রহমানের ছেলে আশিকুর রহমান (২২), ডোমার উপজেলার কেতকীবাড়ি ইউনিয়নের বোতলগঞ্জ গ্রামের আবদার আলী (৫০), ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের খানকাপাড়া গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে জামিউল ইসলাম (১২), একই ইউনিয়নের শাঁখারীপাড়া গ্রামের শুকারু মামুদের স্ত্রী খদেজা বেগম (৫৫) এবং গোমনাতি ইউনিয়নের মৌজাগোমনাতি চৌরঙ্গী বাজার গ্রামের আবদুল গনি (৪০)।

এতে এসব অঞ্চলের অসংখ্য কাঁচা ঘরবাড়ি ও বড়-ছোট গাছপালা উপড়ে যায়; ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হওয়ায় বোরো ধান, পাট ও ভুট্টা ক্ষেতের ক্ষয়ক্ষতি হয়।

ধর্মপাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জামিনুর রহমান বলেন, “ঝড়ের সময় সুমাইয়া তার মেয়েকে নিয়ে ঘরেই ছিলেন। কিন্তু একটি গাছ ভেঙে ঘরের ওপর পড়লে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।”  

ডোমার থানার এসআই আরমান আলী জানান, এ উপজেলায় ঝড়ের মধ্যে চারজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছেন তারা। নিহতরা ঝড়ের সময় বাড়িতে ছিলেন। প্রচণ্ড বাতাসে ঘর ভেঙে পড়লে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।  

নীলফামারী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক আবুল কাশেম আজাদ জানিয়েছেন, এদিকে ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে তিন উপজেলার বোরো, পাট, ভুট্টা ও বাদাম ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীম বলেন, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করতে স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তালিকা হাতে পেলে সরকারিভাবে ত্রাণের ব্যবস্থা করা হবে।
সাহস২৪.কম/মশিউর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত