জোর করে সিল, ৪৫ ব্যালট বাতিল

প্রকাশ : ১৫ মে ২০১৮, ১২:৩৫

সাহস ডেস্ক

২২ নম্বর ওয়ার্ডের ফাতিমা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল সোয়া নয়টার দিকে ৪০ থেকে ৫০ জন যুবক এক নম্বর বুথে জোর করে ঢুকে ঘুড়ি প্রতীকে (কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ এর প্রতীক) সিল মারা শুরু করে। এরপর ওই বুথের ভোট গ্রহণ বন্ধ করা হয়।

আজ মঙ্গলবার (১৫ মে) সকাল সোয়া ১০টার দিকে এই ঘটনা ঘটেছে। 

ওই বুথের সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার রিতেশ বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, ৪০ থেকে ৫০ জন যুবক জোর করে ঢুকে প্রায় ৪৫টি ব্যালটে সিল মেরে বাক্সে ঢুকিয়ে দিয়েছে। আমি আনসার ও পুলিশ ডেকেও তাদের ঠেকাতে পারিনি।

নজরুল ইসলাম মঞ্জু সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারের কাছ থেকে এই তথ্য জেনে প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে কথা বলেন।

প্রিসাইডিং অফিসার মোহাম্মদ জিয়াউল হক সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এ ঘটনাটি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। এই ব্যালটগুলো বাতিল করে দেওয়া হবে বলে মঞ্জুকে জানান তিনি।

রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, খুলনা সিটি কর্পোরেশনে প্রথমবারের মতো মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মেয়র পদে যে পাঁচজন প্রতিদ্বদ্বিতা করছেন তারা হলেন- আওয়ামী লীগের তালুকদার আবদুল খালেক (নৌকা), বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির এসএম শফিকুর রহমান (লাঙল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের অধ্যক্ষ মাওলানা মুজ্জাম্মিল হক (হাত পাখা) এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবির মিজানুর রহমান বাবু (কাস্তে)।

খুলনা সিটিতে মোট ভোটার ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯৮৬ ও নারী ২ লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ জন। ভোটকেন্দ্র ১ হাজার ১৭৮টি। প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার রয়েছে ৪ হাজার ৯৭২ জন।

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব (চলতি দায়িত্ব) ফরহাদ হোসেন জানান, খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দুটি ভোটকেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার হচ্ছে। নগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ২০৬ নম্বর কেন্দ্র ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ২৩৯ নম্বর কেন্দ্রে মোট ১০টি ইভিএম থাকবে।

নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয় শাখার এ কর্মকর্তা বলেন, ১০টি ভোটকক্ষের প্রতিটিতে একটি করে ইভিএম থাকবে।

সাহস২৪.কম/রনি/মশিউর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত