এ মাসে কলকাতা যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ : ২০ মে ২০১৮, ১১:৫৪

সাহস ডেস্ক

চলতি মাসের ২৫ তারিখে শান্তিনিকেতনে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্বভারতীর সমাবর্তন ও বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধন ঘিরে এখন শান্তিনিকেতনে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।

দফায় দফায় নয়াদিল্লি ও ঢাকার সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও রাজ্য প্রশাসন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা  জোরদার করে গড়ে তোলা হচ্ছে। শান্তিনিকেতনে অবস্থানকালে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিবিজড়িত উদয়ন গৃহে অবস্থান করবেন শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি।

জানা গেছে, শান্তিনিকেতনে অবস্থানকালে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিবিজড়িত উদয়ন গৃহে অবস্থান করবেন শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি।

সূত্রের খবর, দুই প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে আগামী ২২ মে থেকেই বিশ্বভারতীর সম্পূর্ণ দায়িত্ব চলে যাবে নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর হাতে। বিশ্বভারতীর প্রবেশপথে থাকছে ২৮টি লকগেটসহ নিরাপত্তাবেষ্টনী। বিশ্ববিদ্যালয়ে  প্রবেশের একাধিক রাস্তায় নিরাপত্তাজনিত কারণে যান চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। সমাবর্তনস্থলসহ সমগ্র বিশ্বভারতীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন মোদির নিরাপত্তাদানকারী স্পেশাল প্রোটেকশন ফোর্সের কমান্ডোরা।

শনিবার বিশ্বভারতী পরিদর্শনে আসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা একটি দল। তাদের সঙ্গে ছিলেন কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হাসানসহ মিশনের কর্মকর্তারা।

এদিন নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের নিয়ে উদয়ন গৃহ ঘুরে দেখেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সবুজকলি সেন। এ ভবনটিতেই কবিগুরুর শেষ জন্মদিন উদযাপিত হয়েছিল। এখান থেকেই অসুস্থ কবিকে শেষবারের মতো  কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গেছে, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও রাজীব গান্ধী শান্তিনিকেতনে এলে উদয়ন গৃহে দ্বিতীয় তলার ডানদিকের যে ঘরটিতে থাকতেন, সেখানেই বিশ্রাম নেবেন শেখ হাসিনা। তৎকালীন  সময়ে তৈরি আসবাব, আলমারি ও আয়না রয়েছে এ ঘরে। রয়েছে রবীন্দ্রনাথসহ একাধিক মনীষীর ছবি।

অন্যদিকে নরেন্দ্র মোদি নিচের তলায় বাঁদিকের ঘরে থাকবেন। এ উপলক্ষে উদয়ন গৃহকে নতুন করে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। ভবনের বাইরে দেয়ালে করা হয়েছে সাদা রঙ। আগে এ ভবনটি দেশ ও বিদেশ থেকে আসা  অতিথিদের থাকার জন্য ব্যবহৃত হতো। তবে ১০ বছর ধরে এটি অব্যবহৃত ছিল।

জানা যায়, এ ভবনের পরিকল্পনা করেছিলেন কবিপুত্র রথীন্দ্রনাথ। আর এটির স্থপতি ছিলেন সুরেন্দ্রনাথ কর। ১৯১৯ সালের শেষদিকে শুরু হয়ে ১৯২৮ সালে এ ভবনটির নির্মাণ সম্পন্ন হয়। এর স্থাপত্যে রয়েছে জাভার  আঙ্কোরভাট মন্দিরের অনুকরণ। এ ছাড়া ভবনে রয়েছে রাজপুত, মুঘল ও জাপানের কারুশিল্পের কাজ।

সাহস২৪.কম/রনি/আল মনসুর 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত