‘চিকিৎসক জীবনে এ রকম সংবাদ খুব কম শুনেছি’

প্রকাশ : ২৩ মে ২০১৮, ১২:৩৬

সাহস ডেস্ক

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইউনিটের প্রধান সমন্বয়কারী ডা. সামন্তলাল সেন বলেন, রক্তনালীর টিউমারে আক্রান্ত সাতক্ষীরার শিশু মুক্তামণির মৃত্যুর সংবাদটি কিছুক্ষণ আগেই জেনেছি। চিকিৎসক জীবনে এ রকম সংবাদ খুব কমই শুনতে হয়েছে। শিশুটির মৃত্যুর এ সংবাদ আমাদের জন্য ছিল হার্ট ব্রেকিং।

আজ বুধবার (২৩ মে) সকালে মুক্তামণির মৃত্যুর সংবাদ শোনার পর এসব কথা বলেন ডা. সামন্তলাল।

তিনি বলেন, মুক্তামণির চিকিৎসার খোঁজ নিতে মঙ্গলবার সাতক্ষীরা থেকে একজন চিকিৎসক পাঠানো হয়েছিল। তার বাড়িতে নিয়মিত চিকিৎসক পাঠানো হতো। আমাদের ইচ্ছা ছিল মুক্তামণিকে ঢাকায় আনা। এ জন্য ওর বাবার সঙ্গে কয়েক দফা কথাও হয়েছে।

ডা. সামন্তলাল বলেন, মুক্তামণি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ছয় মাস চিকিৎসা নিয়েছে। তার চিকিৎসায় কোনো ত্রুটি ছিল না। হাসপাতালের পক্ষ থেকে তার চিকিৎসার জন্য সব চেষ্টা আমরা করেছি।

তিনি বলেন, মুক্তামণির বাবা ইব্রাহিম মেয়েকে ঢাকায় আনতে রাজি হননি। তিনি জানিয়েছিলেন, মুক্তামণি নিজেই ঢাকায় আসতে চায় না।

ডা. সামন্তলাল সেন বলেন, মুক্তামণির চিকিৎসার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানানো হয়েছিল। শুরু থেকেই প্রধানমন্ত্রী তার চিকিৎসার জন্য আন্তরিক ছিলেন। আমরাও চেষ্টা করেছিলাম তাকে ঢাকায় আনতে কিন্তু তার আগেই মুক্তামণি মারা গেল।

প্রসঙ্গ, গত ২০১৭ সালের ১০ জুলাই তাকে ঢাকায় ভর্তি করার পর থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের দুই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. আবুল কালাম আজাদ ও ডা. সামন্তলাল সেনের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল টিম ছয় মাস ধরে তাকে চিকিৎসা দেয়। এ সময় তার দেহে কয়েক দফা অস্ত্রোপচার করা হয়। চিকিৎসায় তার স্বাস্থ্যের আশানুরূপ উন্নতি হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও মুক্তামণির চিকিৎসার দায়িত্ব নেন। তিনি সরকারি খরচে তার চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

এদিকে ঢাকায় টানা ছয় মাস চিকিৎসা শেষে এক মাসের ছুটিতে মুক্তামণি ২০১৭ সালের ২২ ডিসেম্বর বাড়ি ফিরে যায়। এর পর থেকে ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী বাড়িতে রেখে তার চিকিৎসা চলতে থাকে। এরই মধ্যে তার অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে।

সাহস২৪.কম/আল মনসুর 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত