বন্যা, ঘূর্ণিঝড় আর পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে এক লাখ ৩৩ হাজার রোহিঙ্গা

প্রকাশ : ৩১ মে ২০১৮, ১২:৩৯

সাহস ডেস্ক

বর্ষার মৌসুমে বন্যা, ঘূর্ণিঝড় আর পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া এক লাখ ৩৩ হাজার রোহিঙ্গা। তাদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিতে ৫০০  একর জমিতে ৩২ হাজার শেল্টার তৈরির প্রক্রিয়া চলছে।

ইতিমধ্যে ১২৩ একর জমিতে নির্মাণ করা আট হজার শেল্টারে ৩৫ হাজার রোহিঙ্গাকে সরিয়েও নেওয়া হলেও সবাইকে নিরাপদ স্থানে নিতে জুনের মধ্যভাগ পর্যন্ত সময় লাগবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

বর্ষা মৌসুম আসলেই বিপদের আশঙ্কা বাড়ে রোহিঙ্গা পল্লীতে। ভূমিধস, বন্যা সহ তার সঙ্গে রয়েছে ঘূর্নিঝড়েরও আশঙ্কা।

আমেরিকান ভূতত্ত্ববিদ ম্যারিয়া তাসভার গবেষণায় উঠে এসেছে এক লাখ ৩৩ হাজার রোহিঙ্গা পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে রয়েছেন। তবে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন  ৫০ হাজার রোহিঙ্গা। যাদের যেকোনো সময় প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।

প্রাকৃতিক বিপর্যয় এড়াতে না পারলে প্রায় ৬৫ হাজার রোহিঙ্গা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বেন। যেখানে প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা শিশুও চরম ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।  তাই সব ধরণের ঝুঁকিপূর্ণ রোহিঙ্গাদের বর্ষা মৌসুমের আগেই নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। সেই সুপারিশের প্রেক্ষিতেই শুরু হয়েছে তাদের সরানোর  কাজ।
 
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিকারুজাম্মান চৌধুরী বলেন,  ফ্ল্যাশ ফ্লাডের জন্য এক ধরনের ঝুঁকি আছে। তারপরে বন্যা, পাহাড় ধস এবং ঘূর্ণিঝড়ের  ঝুঁকিও আছে। এসব মিলিয়ে এক লাখ ৩৩ হাজার রোহিঙ্গা ঝুঁকির মধ্যে আছেন। তাদের জন্য ৫০০ একর জমিতে ৩২ হাজার শেল্টার তৈরি করার প্রক্রিয়া চলছে।

ইতিমধ্যে কুতুপালং শিবিরের পাশে ১২৩ একর জমিতে আট হাজার শেল্টারে লোক সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বাকিদের সরিয়ে নিতে জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত সময়  লেগে যেতে পারে।

সাহস২৪.কম/রনি/আল মনসুর 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত