একটি সেতুর অভাবে ১৮ গ্রামের ভোগান্তি

প্রকাশ : ২৪ জুন ২০১৮, ১৬:৩৫

আসাদুজ্জামান সাজু

দীর্ঘ দিন ধরে অনেকে বহু প্রতিশ্রুতি দিলেও দুর্ভোগ গেলো না ১৮ গ্রামের মানুষের। একদিকে খরস্রোতা তিস্তা অপরদিকে সতী নদীর মাঝখানে ছিটমহলে অবরুদ্ধ হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন লালমনিরহাট সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়নের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ।

এসব গ্রামের বাসিন্দারা জানান, তিস্তার ভাঙনে মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে লালমনিরহাট সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় ১৫ থেকে ১৮টি গ্রাম। এরমধ্যে রয়েছে খলাইঘাট, চর খলাইঘাট, সৈয়দ পাড়া, বগুড়াটারী, মলবিটারী, চিনাতুলি, কিসামত চিনাচুলি, ঠিকানা বাজার, পাগলার হাট, বালিমারী এবং কাউনিয়া উপজেলার প্রাণনাথ, হারাগাছ, মিলন বাজার ও একতা বাজারসহ আশেপাশের বেশ কিছু এলাকা। লালমনিরহাটের সঙ্গে যোগাযোগ করতে এসব গ্রামের মানুষদের অতিক্রম করতে হয় পানি ও বালুময় প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ কিলোমিটার পথ। 

অপর দিকে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলা সদরের দূরত্ব মাত্র দেড় থেকে দুই কিলোমিটার। আর কাউনিয়া যেতে জেলার সীমান্তে রয়েছে সতী নদী। স্থানীয়রা বাঁশের সাঁকো বানিয়ে কাউনিয়া সদরের সঙ্গে যোগাযোগ সচল রেখেছেন। সতী নদীটি রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার শহীদবাগ ইউনিয়নের প্রাণনাথ গ্রামে গিয়ে পড়েছে। লালমনিরহাটের জনগণের জন্য সেখানে একটি সেতুর প্রয়োজন। দুই জেলার সীমান্তের রশি টানাটানিতে দীর্ঘ ৪৭ বছরেও সেতু নির্মিত হয়নি জনবহুল এই পথে। 

রাজপুর ইউনিয়নের খলাইঘাট গ্রামের কৃষক নুর ইসলাম বলেন, ভোট এলে দুই জেলার প্রার্থীরা সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও ভোটের পরে তাদের আর খুঁজে পাওয়া যায় না।

রাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোফাজ্বল হোসেন মোফা বলেন, সতী নদীটি তার এলাকায় নয়। তাই সেতুর দাবি তোলা তার পক্ষে অসম্ভব। তবে ওই পথে তার ইউনিয়নের প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার মানুষের যাতায়াত রয়েছে। তাই সেতুটি নির্মাণের খুবই প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।

সাহস২৪.কম/রিয়াজ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত