৪৩ শিক্ষককে এমপিওভুক্তির নির্দেশ

প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০১৮, ১৮:২২

সাহস ডেস্ক

দেশের বিভিন্ন জেলার নন-এমপিও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৪৩ শিক্ষককে এমপিওভুক্তির (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ-সংক্রান্ত চারটি রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার (৫ জুলাই) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আল আমিন সরকার।

রিটকারীর আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, বেসরকারি নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে চাকরি করলেও তারা সরকারি বেতনের অংশ (এমপিও) পাচ্ছিল না। তাই শিক্ষকরা এমপিও সুবিধা পাওয়ার জন্য হাইকোর্টের নির্দেশনা চেয়ে শিক্ষকরা পৃথক চারটি রিট করেন। ওই রিটের শুনানিতে রুল জারি করেন আদালত। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে আদালত আজ রায় ঘোষণা করেন।

আইনজীবী জানান, বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান) শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতার সরকারি অংশ প্রদান ও জনবল কাঠামো সম্পর্কিত নির্দেশিকা অনুযায়ী বেতন দেওয়া হয়ে থাকে। নীতিমালা অনুযায়ী এমপিও প্রদানে কোনো প্রতিবন্ধকতা না থাকা সত্ত্বেও তাকে এমপিও দেওয়া হয়নি।

হাইকোর্টে রিটকারীরা হলেন মুন্সীগঞ্জ গার্লস হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক গাজী আসিফ, আফসার রিয়েল, হালুয়াঘাট আদর্শ মহিলা বিদ্যালয়ের প্রভাষক আলী আশরাফ, ধারা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক আসাদুজ্জামান, বীমপুর হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক আতিকুর রহমান, ময়দানদীঘি দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষিকা তানিয়া সুলতানা, করিমুন্নেছা হাফিজ মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক আবদুস সবুর, নোমান মাহমুদ, মো. গোলাম রব্বানী, আতিকা বাসরী, জিল্লুর রহমান, আতিক পারভেজসহ ৪৩ জন শিক্ষক। সেই রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আদালত তাদের এমপিও প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন।

এদিকে, নন-এমপিও শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে এমপিওর দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত