চিকিৎসা পেশা কিছু দুর্বৃত্তের কাছে বন্দী: হাইকোর্ট

প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০১৮, ১৮:১৯

সাহস ডেস্ক

চিকিৎসা পেশা কিছু দুর্বৃত্তের কাছে বন্দী হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, কতিপয় দুর্বৃত্তের কর্মকাণ্ডের কারণে চিকিৎসাসেবার সুনাম নষ্ট হচ্ছে। বিপদে পড়লে মানুষ তিন জনের কাছে যায়। পুলিশ, আইনজীবী ও ডাক্তার। এই তিনটা পেশা যদি ধ্বংস হয় তাহলে মানুষে কোথায় যাবে? ডাক্তারি একটি মহান পেশা। এই পেশাটি কতিপয় দুর্বৃত্তের কাছে বন্দী।

আজ সোমবার (৯ জুলাই) চুয়াডাঙ্গার ইম্প্যাক্ট মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে চক্ষু শিবিরে চিকিৎসা নিতে আসা চোখ হারানো ২০ জনের ক্ষতিপূরণের রুল শুনানিতে ডাক্তারদের বিষয়ে এমন মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। দেশের বেসরকারি হাসপাতালগুলোর পাবলিক পারসেপশন ভালো না এবং ডাক্তারদের ব্যবহারও ভালো না বলে মন্তব্য করেন আদালত।

আদালত অবমাননা সংক্রান্ত এক মামলার শুনানিকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের উপস্থিতিতে হাইকোর্টের বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

আদালতে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী অমিত দাস গুপ্ত। তার সঙ্গে ছিলেন সভাষ চন্দ্র দাস।  অন্যদিকে, ইম্প্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এম আমিনুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ।

উল্লেখ্য, রবিবার চট্টগ্রামের ম্যাক্স হাসপাতালে অভিযান চালান র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানের নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলম। অদক্ষ জনবল ও অপারেশন থিয়েটারে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ব্যবহার এবং হাসপাতালের লাইসেন্স না থাকায় ১০ লাখ জরিমানা করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযানের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম নগরীর বেসরকারি হাসপাতাল মালিকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দেন। এতে বিপাকে পড়ে রোগী ও স্বজনরা। সরকারি হাসপাতালে বাড়তে থাকে রোগীর চাপ। রোগী ও স্বজনদের চরম ভোগান্তির কথা ভেবে সোমবার সকালে চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতাল মালিক সমিতির সঙ্গে বৈঠকে বসে প্রশাসন। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে ধর্মঘট সাময়িক স্থগিত করেন বেসরকারি হাসপাতাল মালিকরা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত