এতিমের টাকা মেরে খাওয়া সমস্ত নারীর জন্য কলঙ্ক: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ | ১১ জুলাই ২০১৮, ১৭:০৫

অনলাইন ডেস্ক

একজন নারী মানে একজন মা, সেই নারী হয়ে এতিমের টাকা মেরে খাওয়া-এটা চিন্তাই করা যায় না। এটা সমস্ত নারীর জন্য কলঙ্ক বলে মন্তব্য করেছেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (১১ জুলাই) বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য নুরজাহান বেগমের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে কোর্টের রায়ে জেলে আছেন। একজন নারী হয়ে দুর্নীতির দায়ে সাজা হয়েছে। মামলাটা আমরা করিনি। রাজনৈতিক কারণে মামলা হলে ২০১৪-১৫ সালেই তাকে গ্রেফতার করতে পারতাম। কোর্টের রায়ে তার সাজা হয়েছে। মামলাটি প্রায় ১০ বছর চলেছে।বিএনপির এত জাদরেল আইনজীবী, তারা কেউ তাকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারলো না, বরং তারা জানতো তিনি অপরাধী। যে কারণে রায়ের আগের দিন তাদের দলের গণতন্ত্রের ৭ ধারা বাতিল করলো। তাদের গঠণতন্ত্রের ৭ ধারা বাতিল করে দুর্নীতিবাজকে নেতা করার সুযোগ করে দিল। এটাই প্রমাণ হয় তিনি অপরাধী। এটা নারী জাতির জন্য লজ্জার। নারী জাতির জন্য কলঙ্কের।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, দেশ যেভাবে সুষ্ঠভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে আমাদের মেয়েরাই লাভবান হবে। আমি বলবো, নারীর ক্ষমতায়ন, সুরক্ষা, উন্নয়ন সবকিছুই নির্ভর করে সুষ্ঠু নির্বাচন; যার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। দেশে যখন সুষ্ঠু সুন্দর গণতান্ত্রিক পরিবেশ থাকে তখন সর্বস্তরের মানুষ কর্মক্ষেত্রে পারদর্শিতা দেখাতে পারে, দেশের উন্নতি হয়। আমরা ১৯৯৬ সালে যখন ক্ষমতায় ছিলাম তখন যেসমস্ত প্রকল্প নিয়েছিলাম সেগুলো তারা ক্ষমতায় এসে বন্ধ করে দেয়। দেশে যদি সুন্দর সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ অব্যাহত থাকে তাহলে অনেক কাজ করা যায়। ২০১৪ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছি বলেই দেশে এত উন্নতি সম্ভব হয়েছে, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক ধারাবাহিতা না থাকলে দেশের নারীরা নির্যাতিত হতো। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে সারাদেশে নারীদের ওপর নির্যাতন চালায়। এমন কোনো জায়গা ছিল না যেখানে নারীদের ওপর নির্যাতন হয়নি। যেকারণে তারা ২০০৮ সালের নির্বাচনে ভোট পায়নি, এটাই বাস্তবতা। এরপর ২০১৪ সালের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ২০১৩-১৪ ও ২০১৫ সালে আন্দোলনের নামে আগুন দিয়ে মেয়েদের পুড়িয়ে মেরেছে। আমি মনে করি নারীর ক্ষমতায়ন তখনই সম্ভব যখন গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।

কাজী ফিরোজ রশিদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের অনেক পরিকল্পনা আছে। আমাদের একটি গভীর সুমদ্রবন্দর করা দরকার, যার প্রক্রিয়া এরইমধ্যে শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ প্রাচ্য পাশ্চাত্যের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করা যেতে পারে। সেটা আমরা করবো। এখানে বড় একটা বিমানবন্দর করা দরকার। বাংলাদেশ যাতে দক্ষিণ এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে পরিণত হয় সে পরিকল্পনা আমাদের আছে। ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। আমরা গ্রামে গ্রামে কর্মসংস্থান গড়ে তোলবো। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ চলছে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আর একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র করবো।