নির্বাচনকালীন সরকার প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার: বাণিজ্যমন্ত্রী
প্রকাশ : ৩০ আগস্ট ২০১৮, ১৬:২৬
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে অন্তর্বর্তীকালীন বা নির্বাচনকালীন সরকার গঠন এবং আকার একান্তই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যাপার বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি কথা বলেন।
নির্বাচনকালীন সরকার বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রসঙ্গে তোফায়েল আহমেদ বলেন, যে সরকার নির্বাচনকালে থাকবে সেটা নির্বাচনকালীন সরকার। এই সরকার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। মেজর কোনো পলিসি টানবো না, মেজর কোনো পলিসি পরিবর্তন করবো না। আর নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করে আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখা, যে কোনো মূল্যে আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করবো।
ইভিএম বিতর্ক নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ইভিএম ব্যবহার সরকারের নয়, ইসির সিদ্ধান্ত। পৃথিবীর এমন একটি দেশের নাম বলুন যেখানে নির্বাচন হওয়ার পর বিতর্ক ওঠেনি? এটি একটি স্বাভাবিক ঘটনা। সিলেট ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই ইভিএম ব্যবহার করা হয়। তবে বিএনপি এই নির্বাচন কমিশন গঠনের দিন থেকেই তার বিরোধিতা করছে। তারা যেকোনও ভালো কাজেরই বিরোধিতা করে, সমালোচনা করে।
ইভিএম ব্যবহারের বিধান করে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন বিষয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বৈঠক বয়কট করেছেন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। এ প্রসঙ্গে সরকার কী মনে করে- এই প্রশ্নে জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বৈঠক করে। তাতে মতবিরোধ হতেই পারে। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তারা যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটিই চূড়ান্ত। সরকার সেটি মেনে নেবে। আর সার্চ কমিটির মাধ্যমে এই ইসি গঠিত হয়েছে। এটি গঠনের সময় বিএনপিও নাম দিয়েছিল। মাহবুব তালুকদারের নাম দিয়েছিল বিএনপি। সেটি বড় বিষয় নয়। আমি মনে করি নির্বাচন কমিশনাররা সবাই দক্ষ ও নিরপেক্ষ।
নতুন রাজনৈতিক জোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনি জোট গঠন যে কেউ করতে পারে। এতে আমাদের কোনও আপত্তি নাই। ড. কামাল হোসেন জীবনে কোনও নির্বাচনে ভোটে জয়ী হননি। যেবার জিতেছিলেন সেটি বঙ্গবন্ধুর ছেড়ে দেওয়া আসনে। আওয়ামী লীগ থেকে তাকে দুইবার মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। তিনি দুইবারই পরাজিত হয়েছেন।