২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমান

প্রকাশ : ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৮:৪৯

সাহস ডেস্ক

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের জনসভায় নৃশংস গ্রেনেড হামলার টার্গেট ছিলেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তাকে হত্যা করাই ছিলো গ্রেনেড হামলার উদ্দেশ্য। আর এর মাস্টারমাইন্ড ছিলেন তারেক রহমান। এ মামলার যুক্তিতর্ক শুনানিতে এমনটি দাবি করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।

মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) মামলার আইনি পয়েন্টের শুনানিতে অংশ নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল আদালতে এসব কথা বলেন। এ সময় এই মামলায় জামিনে থাকা সব আসামির জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন অ্যাডভোকেট কাজল। এছাড়া সবার সর্বোচ্চ শাস্তিও দাবি করেন তিনি।

রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান প্রসিকিউটর সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেন, গ্রেনেড হামলা মামলায় জামিনে থাকা আসামিরা বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন কিংবা আত্মগোপনে থাকতে পারেন। তাই তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানো হোক।

তিনি বলেন, তারেক রহমানের নির্দেশে হাওয়া ভবনে এ হামলার ষড়যন্ত্র হয়। সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ অন্যান্য আসামিরা এ ষড়যন্ত্র করেন। সকল আসামির একই অভিপ্রায় ছিল শেখ হাসিনাসহ সকল আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যা করা। তাই দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় সকল আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।

মঙ্গলবারের যুক্তিতর্কের মাধ্যমে এ মামলায় উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি আজকের মতো শেষ হলো। ১১৭ কার্যদিবস শেষে মামলাটি এই পর্যায়ে এসেছে। এর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ নিয়েছে ২৭ কার্যদিবস আর আসামিপক্ষ নিয়েছে ৮৯ কার্যদিবস।

এ মামলায় মোট আসামি ৫২ জন। ২০১৫ সালের ২১ নভেম্বর রাতে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মামলার অন্যতম আসামি সাবেক মন্ত্রী জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হয়। এছাড়া ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল রাতে মুফতি হান্নান ও তার সহযোগী শরীফ শাহেদুল ওরফে বিপুলের ফাঁসি কার্যকর করায় বর্তমানে আসামির সংখ্যা ৪৯ জন। এর মধ্যে ৮ জন জামিনে, ১৮ জন পলাতক ও ২৩ জন কারাগারে আছেন।

এ মামলার জামিনে থাকা আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার ভাগ্নে লে. কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক, সাবেক আইজিপি মো. আশরাফুল হুদা, শহিদুল হক ও খোদা বক্স চৌধুরী এবং মামলাটির তিন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি’র সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, সিআইডি’র সিনিয়র এএসপি মুন্সী আতিকুর রহমান, এএসপি আব্দুর রশীদ ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল ইসলাম।

অন্যদিকে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ২৩ জন কারাগারে আটক আছেন। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী শাহ মোফাজ্জেল হোসেন কায়কোবাদসহ ১৮ জন আসামি পলাতক আছেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত