মালয়েশিয়ায় রাজশাহীর যুবককে পুড়িয়ে হত্যা

প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১২:৩৫

মালয়েশিয়া প্রবাসী মুদি ব্যবসায়ী সৈয়দ আবদুল মন্ডলকে (৩৫) আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা। তিনি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার রাতুগ্রামের আবদুল কাদের মন্ডলের ছেলে। রবিবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ও মালয়েশিয়া সময় ১২টার দিকে মালয়েশিয়ার বানথিং প্রদেশে এঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় দুর্গাপুরের রাতুগ্রামে বইছে শোকের মাতম।

নিহতের শ্যালক আবদুর রাজ্জাক মালয়েশিয়া থেকে জানান, রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে মালয়েশিয়া সময় রাত ১২টার দিকে মুদি ব্যবসায়ী সৈয়দ আবদুলকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে একটি সমুদ্র সৈকতের ধারে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। স্থানীয় ২জন লোক সমুদ্র ধারে আগুন জ্বলছে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে পুড়ে যাওয়া মরদেহ উদ্ধার করে। সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে জরুরী কাজে দুলাভাইয়ের মোবাইলে ফোন দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এসময় তার বাসায় গিয়ে দেখি লাশসহ পুলিশ ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে।

তিনি আরও জানান, দুর্বৃত্তরা তাকে এমনভাবে পুড়িয়ে যে বিকৃত হয়ে যাওয়া লাশ দেখে দুলাভাইকে চেনার উপায় ছিল না। তবে লাশের হাতের স্বর্ণের আংটি দেখে নিশ্চিত করি এটি দুলাভাই সৈয়দ। নিশ্চিত হওয়ার পরে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠায়। পুলিশ এসময় তার সাথে কাজ করা কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পরে তাদের ছেড়ে দেয়।

নিহতের স্বজনরা জানান, সৈয়দ আবদুল ২০১০ সালে কাজের উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়া পাড়ি জমান। সেখানে গিয়ে তিনি একটি মুদি দোকানে শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করেন। গত ১৫ দিন আগে তিনি নিজেই ওখানে একটি মুদি দোকান কিনে ব্যবসা শুরু করেন। ঘটনার দিন রবিবার রাত ৮টা ৪৯মিনিটে হঠাৎ সৈয়দ তার বাবার কাছে ফোন করে দুর্গাপুর থানার ওসি’র ও উকিলের ফোন নাম্বার চান। বাবা আবদুল কাদের থানার ওসি ও উকিলের নাম্বার সংগ্রহ করে ৫মিনিট পরে ফোন দিলেই ছেলে সৈয়দের নাম্বার বন্ধ পায়।

সোমবার সকালে মালেশিয়ায় কর্মরত নিহত সৈয়দের শ্যালক আবদুর রাজ্জাক তার দুলাভাই সৈয়দকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে বলে বাসায় খবর দেয়। ঘটনা শোনার পরপরই এলাকায় নেমে আসে শোক। স্বজনদের কান্নার আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠে পরিবেশ।

নিহতের বাবা আবদুল কাদের জানান, ৩ বছর আগে কে বা কারা তার মেজো ছেলেকে হত্যা করে। এবার আবারও তার বড় ছেলেকে ষড়যন্ত্র করে মালয়েশিয়ায় আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করলো। আর ছোট ছেলে বর্তমানে রোমানিয়া থাকেন বলে তিনি জানান। তিনি তার ছেলের লাশ ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের সহযোগিতা চান বলে জানান।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত