তাজিয়া মিছিলে বোমা হামলায় ১৩ জঙ্গি জড়িত
প্রকাশ : ১১ অক্টোবর ২০১৬, ১৬:১৭
গত বছর আশুরায় পুরান ঢাকার হোসেনি দালানে তাজিয়া মিছিলে বোমা হামলার ঘটনার সঙ্গে ১৩ জঙ্গি জড়িত ছিল। ওই ১৩ জঙ্গির সবাইকে গ্রেপ্তার করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এর মধ্যে পাঁচজন ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে উপপুলিশ কমিশনার মোঃ মাসুদুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, কারা জড়িত তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং এর কারণও জানা গেছে। ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়। ধর্মীয় মতাদর্শের কারণে জঙ্গিরা এ হামলা করেছিল বলে তদন্তে জানা গেছে।
এবিষয়ে গোয়েন্দা পুলিশ আরও জানায়, এ মামলায় চলতি বছরের ২০ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়। সাঈদ বা হিরন ওরফে কামাল, জাহিদ হাসান রানা ওরফে মোসায়েব, শাহাদাৎ আলবানি ওরফে মাহফুজ ওরফে হোজ্জা, আব্দুল বাকি আলাউদ্দিন ওরফে নোমান, আরমান, রুবেল ইসলাম সজীব, কবির হোসেন রাশেদ ওরফে আশিক, মাসুদ রানা, আহসান উল্লাহ মাহমুদ, আবু সাইদ সোলায়মান ওরফে সালমান, চান মিয়া, ওমর ফারুক ওরফে মানিক ও শাহজালালকে আসামি করা হয়। সংগঠনটির সামরিক শাখার কমান্ডার হোজ্জা হামলার প্রধান পরিকল্পনাকারী। হোজ্জাসহ তিন জঙ্গি পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন। অবশ্য আদালত থেকে তিনজনকে বাদ দিয়ে বিচার শুরু হবে। পাঁচজন ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানতে পারেন, মোহাম্মদপুরের বিহারি ক্যাম্পেও শিয়াদের ওপর হামলার পরিকল্পনা ছিল জঙ্গিদের। মোহাম্মদপুরে বাসা ভাড়াও নিয়েছিল তারা। পরে হোসনি দালানে হামলার পরিকল্পনা করে তড়িঘড়ি করে কামাঙ্গীরচরে বাসা ভাড়া নেয়। হোসনি দালানের কবরস্থান থেকে মাহফুজ আলবানি পাঁচটি গ্রেনেড ছুড়ে মারেন। তার সঙ্গে রাশেদ আশিক হামলায় অংশ নেন। শিয়া সম্প্রদায়ের বড় সমাবেশস্থলে বেশি সংখ্যক মানুষকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল জঙ্গিদের। তবে সিসিটিভি ক্যামেরা ও আর্চওয়ে স্থাপনসহ নিরাপত্তার কিছু উদ্যোগের কারণে জঙ্গিরা পরিকল্পনা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে পারেনি।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৩ অক্টোবর মধ্য রাতে হোসনি দালানে বোমা হামলা চালিয়েছিল জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) জঙ্গিরা। এতে ঘটনাস্থলে একজন এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরেকজনের মৃত্যু হয়।