জঙ্গি রাব্বির মৃতদেহ নেবেন বাবা

প্রকাশ : ২৮ আগস্ট ২০১৬, ১৬:০৫

সাহস ডেস্ক

নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ার একটি বাসায় শনিবার সকালে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও সোয়াতের ‘হিট স্ট্রং ২৭’ অভিযানে নিহত জঙ্গি যশোরের ফজলে রাব্বির লাশ নিতে চান তাঁর বাবা।

শনিবার ওই অভিযানে রাজধানীর গুলশান ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া হামলার ‘পরিকল্পনাকারী ও জোগানদাতা’ তামিম আহমেদ চৌধুরীসহ তিন জঙ্গি নিহত হন। পরে পুলিশ বাকি দুজনেরও পরিচয় প্রকাশ করে।

রবিবার(২৮ আগস্ট) সকালে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটি) প্রধান মনিরুল ইসলাম জানান,  তামিম ছাড়া বাকি দুই জঙ্গির মধ্যে একজনের নাম ফজলে রাব্বি বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাঁর পকেট থেকে একটি জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে। তা দেখে তাঁর পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে। পুলিশ নিখোঁজ হওয়া পাঁচ ব্যক্তির ছবি দিয়ে যে পোস্টার ছাপিয়েছিল তার মধ্যে দুই নম্বরে ছিল এই রাব্বির ছবি।

মনিরুল আরও জানান, ফজলে রাব্বির গ্রামের বাড়ি যশোরের কিসমত নওয়াপাড়ায়। তিনি গত এপ্রিল মাস থেকে নিখোঁজ ছিলেন বলে উল্লেখ করে তাঁর বাবা হাবিবুল্লাহ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন। হাবিবুল্লাহ স্থানীয় কোনো এক কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ বলে জানা গেছে। 

নিহত জঙ্গি রাব্বির বাবা কাজী হাবিবুল্লাহ বলেন, শনিবার বিকেলে আমার ছেলে মারা গেছে- এটা আমি জানি। তার বিষয়ে রিপোর্ট করেন, আমার কোনো সমস্যা নেই। তবে আমার ছেলেকে যারা জঙ্গি বানিয়েছে, বিষ খাইয়েছে- সরকার তাদের কেন ধরছে না?’

ফজলে রাব্বির লাশের বিষয়ে হাবিবুল্লাহ বলেন, অবশ্যই আমার ছেলের মৃতদেহ আনব।

এদিকে তামিম ও রাব্বি ছাড়া অন্য জঙ্গির নাম তাওসিফ হোসেন বলে ধারণা করা হচ্ছে বলে জানান ধানমণ্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মোঃ হেলাল উদ্দিন।  রবিবার সকালে তিনি জানান, তাওসিফ হোসেন ধানমণ্ডি ১১ নম্বরের একটি বাসায় বসবাস করতেন। তাঁর বাবার নাম ডা. আজমল হোসেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ডা. আজমল হোসেন নামের এক ব্যক্তি গত ফেব্রুয়ারি মাসে তাওসিফ হোসেন নামে তাঁর এক ছেলে নিখোঁজ হয়েছেন বলে থানায় একটি জিডি করেছিলেন। জিডি নম্বর ১৪৩।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত