বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ শিক্ষার্থী রিমান্ড শেষে কারাগারে

প্রকাশ | ১০ আগস্ট ২০১৮, ১১:২৭

অনলাইন ডেস্ক

নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের নবম দিনে পুলিশের উপর হামলা ও ভাংচুরের দুই মামলায় গ্রেপ্তার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ শিক্ষার্থীকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

বৃহস্পতিবার (০৯ আগস্ট) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক সত্যব্রত শিকদার রাজধানীর বাড্ডা ও ভাটারা থানায় দায়ের করা মামলায় আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

বাড্ডা থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জুলহাস মিয়া ও ভাটারা থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই হাসান মাসুদ দুই দিনের রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

২২ শিক্ষার্থীদের পক্ষে জামিনের আবেদন করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান হাওলাদারসহ কয়েকজন আইনজীবী। তারা বলেন, এরা সবাই শিক্ষার্থী হলেও এজাহারে সেটা উল্লেখ করা হয়নি। তাছাড়া তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। ঘটনার দিন ‘যারা মার খেল তারাই আসামি হল’ বলে মন্তব্য করেন আইনজীবীরা।

রাষ্ট্রপক্ষে সংশ্লিষ্ট থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই মো. আবু হানিফ শিক্ষার্থীদের জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, আসামিরা সবাই ছাত্র, সবাই কোমলমতি। ছাত্ররা ছাত্রদের মতো চলবে। কিন্তু তারা সবাই সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। সরকারকে উৎখাত করার জন্য তারা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে। ছাত্ররা রাস্তায় আসবে, আন্দোলন করবে। কিন্তু তারা কী ধরনের আন্দোলন করেছে আমরা তা দেখেছি। পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেটসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাদের থামাতে পারেনি। কারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপর কীভাবে হামলা করেছে? তারা কী ধরনের ছাত্র?

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ২০ ছাত্রের জামিন আবেদন সরাসরি নাকচ করেন। দুই আসামি রেদোয়ান ও তরিকুলের জামিন শুনানির জন্য আদালত রবিবার দিন ঠিক করে দিয়েছে। এদিন এই শিক্ষার্থীদের এজলাসে তোলা  হয়নি। আগের দিন ২২ শিক্ষার্থীর অনেককেই কোমরে রশি বেঁধে এজলাসে তোলা হয়েছিল।

এই ২২ জন আফতাবনগর এলাকার ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়, বসুন্ধরা এলাকার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, তেজগাঁও এলাকার সাউথ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় এবং মহাখালীর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।