‘বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য সরানোর প্রশ্নই ওঠে না’

প্রকাশ : ২৩ মার্চ ২০১৭, ১৪:০২

সাহস ডেস্ক

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের দুই বাংলার প্রেরণা। তাঁর ভাস্কর্য সরানোর প্রশ্নই ওঠে না। কেউ প্রতিবাদ করতে চাইলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ৯৭তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবসে ভারতের কলকাতার বেকার হোস্টেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্থাপিত আবক্ষ ভাস্কর্য সরিয়ে দেওয়ার দাবি নাকচ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ৯৭তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস কলকাতায় উদ্‌যাপিত হয়েছে যথাযোগ্য মর্যাদায়। কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশন বেকার হোস্টেলে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্যে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো, বিশেষ মোনাজাত, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বঙ্গবন্ধুর ওপর আলোকচিত্র প্রদর্শনী, প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদ্‌যাপন করে।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উদ্‌যাপনের পর ‘সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন’-এর সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ কামরুজ্জামান এক বিবৃতিতে দাবি করেন, ‘বেকার হোস্টেল থেকে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য সরিয়ে অন্য কোনো সরকারি স্থানে বসানো হোক। কারণ, ইসলাম ধর্মে ভাস্কর্যের স্বীকৃতি নেই। হোস্টেলের ভেতর কোনো ইসলামবিরোধী কাঠামো গড়া অন্যায়।’

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। আজ ২৩ মার্চ (বৃহস্পতিবার) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্ধৃতি দিয়ে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ‘ঐতিহ্যের কোনো ইজারা হয় না। বঙ্গবন্ধু দুই বাংলার কাছেই শ্রদ্ধেয়, স্মরণীয়। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের প্রেরণা। তাঁর স্মৃতি শ্রদ্ধার সঙ্গে সংরক্ষণ করাই আমাদের কর্তব্য। এর কোনো রকম বিরোধিতা বরদাশত করা হবে না। কেউ প্রতিরোধ তৈরি করতে চাইলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

১৯১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই বেকার হোস্টেল। এটি সরকারি ছাত্রাবাস। বঙ্গবন্ধু কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে পড়ার সময় এই বেকার হোস্টেলে ছিলেন ১৯৪৫-৪৬ সালে। তিনি ছিলেন ২৪ নম্বর কক্ষে। ইসলামিয়া কলেজের নাম বদলিয়ে এখন নামকরণ করা হয়েছে মাওলানা আজাদ কলেজ।

১৯৯৮ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে বেকার হোস্টেলের ২৩ ও ২৪ নম্বর কক্ষ নিয়ে গড়ে তোলা হয় বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষ। এই স্মৃতিকক্ষে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত খাট, চেয়ার, টেবিল ও আলমারি। তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু ২৪ নম্বরের পাশের ২৩ নম্বর কক্ষটিকে যুক্ত করে স্মৃতিকক্ষ গড়ার উদ্যোগ নেন। ১৯৯৮ সালের ৩১ জুলাই বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন উচ্চশিক্ষামন্ত্রী অধ্যাপক সত্যসাধন চক্রবর্তী।

 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত