বৃহস্পতিবার এস এম সুলতানের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী

প্রকাশ : ০৯ আগস্ট ২০১৭, ১০:৩১

সাহস ডেস্ক

বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী আগামিকাল বৃহস্পতিবার। ১৯২৪ সালের ১০ আগষ্ট তিনি নড়াইলের মাছিমদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

জন্মবার্ষিকী পালন উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ও এস এম সুলতান ফাউন্ডেশন নড়াইল এসএম সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালায় বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- শিল্পীর কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কোরআন খানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, আলোচনাসভা, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বাঙালি জাতিসত্তার গভীরতম অন্তরভূমিতে যে অমিত শক্তি সুপ্ত ছিল সহস্র বছর ধরে তারই নান্দনিক শৈল্পিক প্রকাশের অন্যতম সূর্যসারথি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিত্রশিল্পী এস এম সুলতান। ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট তৎকালীন মহকুমা শহর নড়াইলের চিত্রা নদীর পাশে সবুজ শ্যামল ছায়া ঘেরা, পাখির কলকাকলীতে ভরা মাছিমদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন শিল্পী এস এম সুলতান। তার পিতা মোঃ মেছের আলি ও মাতা মোছাঃ মাজু বিবি। চেহারার সঙ্গে মিলিয়ে মাতাপিতা আদর করে নাম রেখেছিলেন লাল মিয়া।

৭০ বছরের জীবনে তিনি তুলির আঁচড়ে দেশ, মাটি, মাটির গন্ধ আর ঘামেভেজা মেহনতী মানুষের সাথে নিজেকে একাকার করে সৃষ্টি করেছেন পাটকাটা, ধানকাটা, ধানঝাড়া, জলকে চলা, চরদখল, গ্রামের খাল, মৎস শিকার, গ্রামের দুপুর, নদী পারাপার, ধানমাড়াই, জমি কর্ষণে যাত্রা, মাছধরা, নদীর ঘাটে, ধানভানা, গুন টানা, ফসল কাটার ক্ষণে, শরতের গ্রামীণ জীবন, শাপলা তোলার মত বিখ্যাত সব ছবি।

১৯৫০ সালে ইউরোপ সফরের সময় যৌথ প্রদর্শনীতে তার ছবি সমকালনী বিশ্ববিখ্যাত চিত্রশিল্পী পাবলো পিকাসো, ডুফি, সালভেদর দালি, পলক্লী, কনেট, মাতিসের ছবির সঙ্গে প্রদর্শিত হয়। সুলতানই একমাত্র এশীয় শিল্পী যার ছবি এসব শিল্পীদের ছবির সঙ্গে একত্রে প্রদর্শিত হয়েছে।

কালোত্তীর্ণ এই চিত্রশিল্পীকে ১৯৮২ সালে একুশে পদক, ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের রেসিডেন্স আটির্ষ্ট হিসেবে স্বীকৃতি, ১৯৮৬ সালে চারুশিল্পী সংসদ সম্মাননা এবং ১৯৯৩ সালে রাষ্টীয়ভাবে স্বাধীনতা পদক প্রদান করা হয়।

চিত্র শিল্পী এসএম সুলতান ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় জেলার বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে যুদ্ধের ছবি আঁকেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত