তাজপুর চুনা পাথর খনিতে কূপ খননে যাচ্ছে জিএসবি

প্রকাশ : ১৪ অক্টোবর ২০১৬, ১৩:৩৯

সাহস ডেস্ক

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার বিলাশবাড়ী ইউনিয়নে তাজপুর চুনা পাথর খনির বিস্তৃতি ও মজুদ যাচাইয়ের জন্য আবারও মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসবি)।  

জিএসবির পরিচালক সিরাজুল ইসলাম খান বিষয়টি নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান, এরই মধ্যে তাজপুর থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে ভগবানপুর নামক স্থানে নতুন কূপ খননের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এই খনির দ্বিতীয় কূপ এটি। নভেম্বর মাসের শুরুতেই আনুষ্ঠানিকভাবে কূপ খনন শুরু করা হবে। দ্রুত প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে কূপ খননের জন্য ।  
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভগবানপুরে চুনা পাথর ও কয়লাসহ অন্যান্য মূল্যবান খনিজ সম্পদ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।  

জিএসবির উপ-পরিচালক (ড্রিলিং প্রকৌশল) ও কূপ খনন টিমের প্রধান মহিরুল ইসলাম জানান, নভেম্বর মাসের শুরুতেই ভগবানপুরে কূপ খনন শুরু করা হবে। খনন করার জন্য সেখানে অত্যাধুনিক রিগ মেশিন বসানো হবে। ভগবানপুরে প্রায় তিন হাজার ফিট গভীর করে কূপ খনন করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।   

জিএসবির উপ-পরিচালক (ভূ-পদার্থ) কেএইচএম সাইফুর রহমান জানান, জিএসবির গবেষকরা ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে উপজেলার তাজপুরসহ আশেপাশের এলাকায় একটি প্রাথমিক জরিপ চালান। গবেষকরা ওই জরিপে ভূগর্ভে মূল্যবান খনিজ সম্পদের সন্ধান পান। গবেষকদের প্রাথমিক জরিপের সেই সূত্র ধরে ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে তাজপুরে স্তরতাত্ত্বিক তথ্য সংগ্রহে প্রথম কূপটি খনন শুরু করা হয়।   

তাজপুরে খননকালে প্রায় দুই হাজার ৭১৪ ফুট নিচে চুনা পাথরের সন্ধান পাওয়া যায়। প্রায় দুই হাজার ৮২০ ফিট খনন করা হয়। এতে চুনা পাথরের পুরুত্ব ধরা পরে প্রায় ১০০ ফুট। এছাড়া তারা ধারণা করছেন, ৫০ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে খনির বিস্তৃতি রয়েছে।   

জিএসবির পরিচালক সিরাজুল ইসলাম খান বলেন, উন্নত মানের চুনা পাথর রয়েছে তাজপুরে আবিষ্কৃত খনিতে। এটি দেশের সবচেয়ে বড় মজুদ বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তবে এই খনি আবিষ্কার হওয়ার পর মজুদ ও বিস্তৃতি নিশ্চিত হওয়ার জন্য পর্যায়ক্রমে আরো চারটি কূপ খনন করা হবে খনি এলাকায়।   

তারা ধারণা করছেন, তাজপুরের তুলনায় সেখানে অপেক্ষাকৃত কম গভীরেই মূলবান খনিজ সম্পদ পাওয়া যাবে। 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত