জ্বালানি তেলের দর ৬০ ডলারে পৌঁছতে পারে

প্রকাশ : ১২ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৭:৪৫

সাহস ডেস্ক

চলতি বছর আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দর ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলারে গিয়ে দাঁড়াতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। রাশিয়া ও ওপেক বহির্ভূত কয়েকটি দেশ ওপেকের আহ্বানে সাড়া দিয়ে তেল উৎপাদন কমানোর ঘোষণা দেওয়ায় এবং বিশ্বের শীর্ষ তেল উৎপাদনকারী দেশ সৌদি আরব পূর্বে দেওয়া প্রতিশ্রুতির চেয়েও কম উৎপাদনের ঘোষণায় তেলের দরে এর প্রভাব পড়বে।

ওপেক বহির্ভূত রাষ্ট্রগুলো জানিয়েছে তারা দৈনিক ৫ লাখ ৫৮ হাজার ব্যারেল কম তেল উৎপাদন করবে। ৩০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত বৈঠকে ওপেকের সদস্য রাষ্ট্রগুলো আগামী জানুয়ারি থেকে দৈনিক ১২ লাখ ব্যারেল তেল কম উত্তোলন করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। নতুন করে ওপেক বহির্ভূত রাষ্ট্রগুলো তেল উৎপাদন কমানোর এ ঘোষণা দিল।

ওপেক বহির্ভূত রাষ্ট্রগুলোর তেল উৎপাদন কমানোর এমন ঘটনাকে ‘অভূতপূর্ব’ আখ্যা দিয়ে ফ্লোরিডার ওয়ালিংটনের জ্বালানি বিশ্লেষক গ্রুপের সদস্য থমাস ফিনলন বলেন, ওপেক বহির্ভূত রাষ্ট্রগুলো ৫ লাখ ৫৮ হাজার ব্যারেল ও ওপেকভুক্ত রাষ্ট্রগুলো ১২ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন কমানোর ঘোষণার ফলে দৈনিক ১৮ লাখ তেল কম উৎপাদিত হবে। যা বিশ্বের উৎপাদিত তেলের প্রায় ২ শতাংশ। তেলের বাজারে প্রভাব পড়ার জন্য এটা যথেষ্ট।

ইতোমধ্যে রাশিয়া ঘোষণা দিয়েছে আগামী বছর থেকে তারা দৈনিক ৩ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন করবে। গত মাসে ৩০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ১১.২ মিলিযন ব্যারেল তেল উৎপাদন করেছিল দেশটি।

এছাড়া মেক্সিকো ১ লাখ ডলার, আজারবাইজান ৩৫ হাজার ডলার ও ওমান ৪০ হাজার ব্যারেল তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
এদিকে বিশ্বের শীর্ষ তেল উৎপাদনকারী দেশ সৌদি আরবের জ্বালানিমন্ত্রী খোলিদ আল ফালিহ বলেন, ৩০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত বৈঠকে যে পরিমাণ তেল উৎপাদন কমানোর প্রতিশ্রুতি আমাদের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছিল তার থেকেও কম তেল উৎপাদন করা হবে।


গত ৮ বছরের মধ্যে এ প্রথম তেলের উৎপাদন কমানোর ঘোষণায় ব্রেন্টের দাম ব্যারেলপ্রতি ২০ শতাংশ বেড়েছে। সোমবারের লেনদেনের শুরুতে তেলের দর ৬.৬ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি দাঁড়িয়েছে ৫৭.৮৯ ডলারে।

২০০১ সালের পর তেল উৎপাদন কমানোর বিষয়ে ওপেক ও ওপেক বহির্ভূত রাষ্ট্রগুলো এ ধরনের সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে। তেলের বাজারে নিজেদের অংশীদারিত্ব বাড়ানোর জন্য অতিরিক্ত তেল উৎপাদনের রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে যে ‘যুদ্ধ’ তৈরি হয়েছিল তার অবসান ঘটতে যাচ্ছে এর মাধ্যমে। অতিরিক্ত উৎপাদনের কারণে তেলের দরের ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত পতন হয়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত