এডিবি সম্মেলনে অবকাঠামোয় বিনিয়োগে গুরুত্বারোপ

প্রকাশ : ০৬ মে ২০১৭, ১৮:৩০

সাহস ডেস্ক

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) বোর্ড অব গভর্নর্সের ৫০ তম বার্ষিক সভার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে। সম্মেলন ৪ মে (বৃহস্পতিবার) শুরু হলেও ৬ মে (শনিবার) এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জাপানের সম্রাট আকিহিতোর বড় ছেলে প্রিন্স নারুহিতো।

জাপানের অন্যতম শিল্পনগরী ইয়োকোহামায় প্যাসিফকো ইয়োকোহামা কনভেনশন হলে বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতসহ এডিবির সদস্য ৬৭টি দেশের অর্থমন্ত্রী এবং প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে সদস্য সব দেশ একসঙ্গে সমৃদ্ধশালী এশিয়া গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন প্রিন্স নারুহিতো।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর এডিবির গভর্নররা বৈঠক করেন। বাংলাদেশে এডিবির গভর্নর অর্থমন্ত্রী।

সম্মেলনের উদ্বোধনী ঘোষণা করে প্রিন্স নারুহিতো বলেন, ‘এডিবি যখন প্রতিষ্ঠিত হয় তখন এশিয়া ছিল পৃথিবীর দরিদ্রতম অঞ্চল। ৫০ বছরে এ অঞ্চল অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। তবে এখনো ৩০ কোটির বেশি লোক দরিদ্র। এছাড়া  এ অঞ্চলে অবকাঠামো, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার চ্যালেঞ্জ রয়েছে।’ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এডিবি গুরুত্ব পালন করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এডিবির প্রেসিডেন্ট তাকিহিকো নাকাও বলেন, ‘এশিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে অবকাঠামা উন্নয়নে এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় আরো বিনিয়োগ দরকার। ২০৩০ সাল পর্যন্ত এডিবির নতুন দীর্ঘমেয়াদী কৌশলে অবকাঠামোতে বিনিয়োগই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে।’

তিনি বলেন, ‘২০৩০ সাল নাগাদ এশিয়ায় বিদ্যুৎ, পরিবহন, টেলিযোগাযোগ ও পানি সম্পদে প্রতি বছর ১ লাখ ৭০ হাজার কোটি ডলার (১.৩ ট্রিলিয়ন) বিনিয়োগ করতে হবে।’

এডিবির প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশের উচ্চ প্রবৃদ্ধির প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার পরও উন্নয়নশীল এশিয়া গড়ে প্রায় ৬ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। তবে এই বছর ৫ দশমিক ৭ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি হবে। ধারাবাহিকভাবে উচ্চ প্রবৃদ্ধির পর চীনের অর্থনীতি এখন কিছুটা পরিমিতভাবে বাড়বে। তবে বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি হবে।’

শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ সামাজিক খাতকে এডিবির দ্বিতীয় অগ্রাধিকার হিসেবে উল্লেখ করে তাকিহিকো নাকাও বলেন, ‘এডিবি সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা ও ম্যালেরিয়া, যক্ষা ও এইচআইভির মতো সংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধে সহায়তা করবে।’

অনুষ্ঠানে জাপানের উপ-প্রধানমন্ত্রী তারো আসো বলেন, ‘এশিয়া এখন বিশ্ব অর্থনীতির চালিকাশক্তি। এরপরও দুর্বল অবকাঠামো, প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো বড় সমস্যা রয়ে গেছে। এক্ষেত্রে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে হবে। জাপান সবসময় এর সঙ্গে আছে।

উদ্বোধনী বক্তব্য শেষে সম্মেলনে আগত প্রতিনিধিদের সম্মানে ইকোহামার তরুন শিল্পীদের সমন্বয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়। প্রিন্স নারুহিতো সম্মেলন কেন্দ্রের ব্যালকনিতে বসে অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত