কোরবানি উপলক্ষে মিয়ানমার থেকে আসছে পশু

প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০১৭, ১৩:১২

সাহস ডেস্ক

ঈদুল আজহা সামনে রেখে মিয়ানমার থেকে প্রচুর গরু-মহিষ আমদানি করা হচ্ছে। কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ করিডোর দিয়ে আসছে এসব পশু।

প্রতিদিন শত শত গরু, মহিষ ও ছাগল নিয়ে জেটি ঘাটে ভিড়ছে কোরবানির পশু ভর্তি ট্রলার। এ কারণে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গরু বেপারীরা গরু কিনতে ভিড় করছেন শাহপরীরদ্বীপের করিডোরে। কোরবানির আগেই এসব পশু ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দেশের নানা প্রান্তে। গত বছরের তুলনায় এ বছর মিয়ানমারের গরুর দাম অনেকটাই কম বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

শাহপরীর দ্বীপ করিডোরে গিয়ে দেখা যায়, এ পর্যন্ত আসা পশু করিডোরে সারিবদ্ধভাবে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ১০৫টি গরু ট্রলারে নিয়ে আসেন ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ মনির। তিনি বলেন, 'গত মাসের তুলনায় এ মাসে মিয়ানমার থেকে কোরবানির পশু বেশি আমদানি হচ্ছে। নাফ নদীর ওপারে আমার পাঁচ হাজারের অধিক গরু-মহিষ রয়েছে। সেগুলো ঈদের আগে আমদানি করার লক্ষ্য রয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, মিয়ানমার থেকে পশু আমদানি হলেও করিডোরে কোনো ব্যাংক ও কাস্টম অফিস না থাকায় ব্যবসায়ীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাছাড়া নেই পশু রাখার সুব্যবস্থা। ফলে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করলে অনেক সময় আমদানি করা পশু মারা যায়।

শাহপরীর দ্বীপ করিডোরে ব্যবসায়ী মো. নুরুল হক বলেন, কোরবানি উপলক্ষে পশু আমদানি ক্রমাগত বাড়ছে। এসব পশুর মূল্য ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে। চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আনা হচ্ছে এসব পশু।

টেকনাফ মডেল থানার ওসি মাইন উদ্দিন খান বলেন, শাহপরীর দ্বীপ করিডোরে গরু ব্যবসায়ীদের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বারবার বৈঠক করা হচ্ছে, যাতে তাদের কোনো সমস্যা না হয়। পশু সরবরাহের ক্ষেত্রে পথে যেন কোনো রকম চাঁদাবাজি না হয় তাও নজরে রাখা হচ্ছে।

টেকনাফে বিজিবি-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এসএম আরিফুল ইসলাম জানান, পশু আনার সময় নাফ নদীতে যাতে কোনো ধরনের সমস্যা না হয়, সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি গরু আসার সময় যাতে অস্ত্র, মাদক ও রোহিঙ্গা না আসতে পারে, সেদিক বিবেচনা করে সীমান্তে বিজিবি সতর্ক রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত