কমিশন নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার ম খা আলমগীরের

ফারমার্স ব্যাংকের গ্রাহকের কাছ থেকে ঋণের কমিশন নেওয়াসহ নানা অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান ও সরকারি দলের সংসদ সদস্য মহীউদ্দীন খান আলমগীর। তার দাবি, তিনটি পত্রিকা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অসত্য তথ্য প্রকাশ করেছে।

জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে ১২ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে নিজের ব্যাখ্যা দেন মহীউদ্দীন খান আলমগীর।

তিনি বলেন, পত্রিকাগুলো বলেছেন ফারমার্স ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে আমি ব্যক্তিগতভাবে ঋণ বিতরণের আগে কমিশন নিয়েছি। আমার ৭৭ বছর বয়সে আমি কখনও এত বড় অসত্য কথার সম্মুখীন হইনি।

এ সময় তিনি একটি ব্যাংক হিসাব বিবরণী দেখিয়ে বলেন, আমি এ অভিযোগের বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংকে আমার ব্যাংক হিসাবের পুরো অংশ নিয়ে এসেছি। এতে কোথাও কেউ প্রমাণ করতে পারবেন না যে কোনো ঋণগ্রহীতার কাছ থেকে আমার এখানে অর্থ ঢুকেছে।

ম খা আলমগীর বলেন, পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী গত বছরের ১৭ জুলাই গ্রাহকের হিসাব থেকে তার ব্যাংক হিসাবে ১৩ কোটি টাকা ঢুকেছে। কিন্তু তার ব্যাংক হিসাবে এ ধরনের কোনো লেনদেন ঘটেনি। তার দাবি, তিনি চেয়ারম্যান থাকতে অনুমোদন ছাড়া কোনো ঋণ ফারমার্স ব্যাংক দেয়নি।

অনুমোদিত ঋণের চেয়ে বেশি অননুমোদিত ঋণ দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে ম খা আলমগীর বলেন, তার জানামতে তিনি চেয়ারম্যান থাকাকালে এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি।

কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, নিয়োগের সব ক্ষেত্রে যথাযোগ্য নিয়োগ হয়েছে।

সাহস২৪.কম/ জুয়েনা/আল মনসুর