জলবায়ু তহবিলে ৪ কোটি ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ

প্রকাশ : ০৮ মার্চ ২০১৮, ১৬:৪২

সাহস ডেস্ক

গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড থেকে চার কোটি ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ। স্থানীয় মুদ্রায় যা ৩২০ কোটি টাকারও বেশি। জলবায়ু সহিষ্ণু অবকাঠামো প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ (ক্লাইমেট রেসিলেন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার মেইনস্ট্রিমিং ইন বাংলাদেশ) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ অর্থ ব্যয় হবে। 

বৃহস্পতিবার (০৮ মার্চ) দুপুরে জার্মান দাতা সংস্থা কে এফ ডব্লিউ-এর সঙ্গে সরকারের এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের ইআরডি সম্মেলন কক্ষে চুক্তিতে সই করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব কাজী শফিকুল আযম এবং কে এফ ডব্লিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য (এশিয়া এবং ইউরোপ বিভাগ) রোলান্ড সিলার।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডের (জিসিএফ) আওতায় এটি প্রথম প্রকল্প। উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা ও সাতক্ষীরার ২০ উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের ভূমিকা অতি নগণ্য। অথচ বাংলাদেশই জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির সম্মুখীন। একক দেশ হিসেবে প্রতিবেশী ভারত ও চীন সবচেয়ে বেশি কার্বন নিঃসরণ করে। আশার কথা হচ্ছে, দেশ দুটি জলবায়ু ঝুঁকির বিষয়টি বর্তমানে আমলে নিচ্ছে এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপও নিচ্ছে। 

জলবায়ু সহিষ্ণু অবকাঠামো প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ (ক্লাইমেট রেসিলেন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার মেইনস্ট্রিমিং ইন বাংলাদেশ) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ অর্থ ব্যয় হবে। 

প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ কোটি ২৭ লাখ ৫০হাজার ডলার। এর মধ্যে জিসিএফের ৪ কোটি ডলার পাওয়া যাচ্ছে অনুদান হিসেবে। এছাড়াও জার্মানি সরকার অনুদান সহায়তা হিসেবে দিচ্ছে আরও দেড় কোটি ডলার। আর বাংলাদেশ সরকার অর্থায়ন করছে ২ কোটি ৭৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

জানা গেছে, প্রকল্পের আওতায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ ও সংস্কার, দুর্গম উপকূলীয় এলাকায় রাস্তা নির্মাণ, জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ নগরবাসীর নিরাপত্তার জন্য অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। 

এছাড়া আবহাওয়া সংক্রান্ত সকল প্রয়োজনীয় তথ্য ও দুযোর্গ মোকাবেলার প্রস্তুতিমূলক তথ্যের জন্য একটি জলবায়ু সহিষ্ণু অবকাঠামো উৎকর্ষ  চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান

কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। ছয় বছর মেয়াদী প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)।

উল্লেখ্য, জিসিএফ জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন (ইউএনএফসিসিসি)-এর আওতায় ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত তহবিল। এর মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রচেষ্টায় অর্থায়ন করা হয়। বাংলাদেশে জিসিএফের অনুমোদন পাওয়া এটিই প্রথম প্রকল্প।

সাহস২৪.কম/আল মনসুর 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত