কর্পোরেট কর কমানোর প্রস্তাব এফবিসিসিআই’র

প্রকাশ : ১৩ এপ্রিল ২০১৮, ১৬:১৬

সাহস ডেস্ক

বাজেটকে ব্যবসায়ীবান্ধব করতে কোম্পানির কর বা কর্পোরেট কর যৌক্তিক হারে কমানোর দাবি ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) আগামী  ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে কর্পোরেট কর ২ দশমকি ৫ শতাংশ কমানোর এবং ব্যক্তিগত করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে ৩  লাখ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে।

এছাড়া সংগঠনটি এবং ব্যক্তিগত করদাতার প্রদর্শিত নিট পরিসম্পদের ভিত্তিতে সারচার্জের শূন্য শতাংশের সীমা বর্তমানের সোয়া ২ কোটি থেকে ৩ কোটি টাকা পর্যন্ত বাড়ানোরও প্রস্তাব দিয়েছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতের সাম্প্রতিক বাজেটের উদাহরণ টেনে ভিন্ন ভিন্ন খাত এবং পরিস্থিতিতে আসছে বাজেটে এ হার কী হতে পারে তাও সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনী বছরে বাজেটে নতুন কোন উদ্যোগ নেওয়া যায় না। তাই, পুরোনো উদ্যোগগুলোতেই নতুনভাবে  জোর দেয়া হবে। এনবিআর এখন জনবান্ধব উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত ১০ বছরে এনবিআর মানুষের অনেক কাছে  এসেছে। এতে করদাতা বেড়ে ৩০ লাখে পৌঁছেছে, যা ১৯৮২ সালে ছিলো মাত্র ৭ লাখ।

ভ্যাটের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশের পরিবর্তে যারা উপকরণ রেয়াত নিতে ব্যর্থ তাদের জন্য হ্রাসকৃত হারের বিধানে নতুন ভ্যাট আইনে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে। নতুন ভ্যাট আইনে উপকরণ রেয়াত নেয়ার সুযোগ রেখে সব ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ হার রাখার বিধান রাখা হয়েছে। উৎপাদক, ব্যবসায়ী ও সেবা খাতের জন্য টার্নওভারের (বার্ষিক বিক্রয়) উপর অব্যাহতি সীমা বিদ্যমান ২৪ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৬ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। উৎপাদকদের ক্ষেত্রে অবশিষ্ট দেড় কোটি টাকা পর্যন্ত টার্নওভারে তিন শতাংশ এবং ব্যবসায়ী পর্যায়ে ২ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপের সুবিধা রাখার প্রস্তাব করাসহ ১২৮টি প্রস্তাব করা হয়েছে।

মৌলিক কাঁচামাল ও মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে ১ শতাংশ শুল্ক রাখার প্রস্তাব রয়েছে। এছাড়া দেশে উৎপাদিত হয় না এমন মধ্যবর্তী কাঁচামাল আমদানিতে ৩ শতাংশ, অতিপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য ও দেশে উৎপাদিত কাঁচামাল ১০ শতাংশ এবং বিলাসদ্রব্য বা তৈরি পণ্য আমদানিতে ২৫ শতাংশসহ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব শুল্ক বিষয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে ৩১৮টি প্রস্তাব থাকছে।

সাহস২৪.কম/শেখ আবদুল্লাহ/আল মনসুর 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত