এডিবি’র বার্ষিক অর্থায়ন কর্মকান্ড ৩২.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার
প্রকাশ : ২৫ এপ্রিল ২০১৮, ১১:৪৯
২০১৭ সালে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) লোনদানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩২.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশসমূহে ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন চাহিদা মেটাতে ব্যাংকটির এই লোনদান কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে বলে ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। বহুমুখী লোনদান সংস্থার বার্ষিক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।
মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) প্রকাশিত ব্যাংকটির এই বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়, আগের বছরের চেয়ে উল্লেখিত বছরে ব্যাংকের লোনদান কর্মসূচী ২৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিবেদনে বিগত বছরে ব্যাংকটির সার্বিক কর্মকান্ড তুলে ধরা হয়েছে।
২০১৭ সালে এডিবির মোট লোনদান কর্মসূচী ছিল ৩২.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এরমধ্যে ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল থেকে লোন, মঞ্জুরী এবং বিনিয়োগে করা হয় ২০.১ মার্কিন ডলার। এই পরিমাণ ২০১৬ সাল থেকে ৫১ শতাংশ বেশি।
এডিবি’র প্রেসিডেন্ট তাকেহিকো নাকাও বলেন, আমরা ২০১৭ সালে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশসমূহে উন্নয়ন প্রয়োজন মেটাতে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছি।
তিনি বলেন, আমাদের এই লোনদান কর্মসূচী আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আমরা অঞ্চলের বহুমুখি এবং সুনিদিষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও দ্রুত নগরায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি ও জ্বালানীর ক্রমবর্ধমান চাগিদার মতো প্রয়োজন মেটাতে আরো বেশি করে অর্থসহায়তা দিয়ে যাব।
এডিবি ২০১৭ সালে জলবায়ুজনিত সমস্যা মোকাবেলায় রের্কড পরিমাণ ৪.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লোন দিয়েছে। অর্থের এই পরিমাণ, আগের বছরের চেয়ে ২১ শতাংশ বেশি। ২০২০ সালের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা মোকাবেলায় ব্যাংকের বার্ষিক লোনদানের পরিমাণ ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এডিবি এক্সর্টানাল ফাইন্যান্স থেকে অতিরিক্ত ৬০৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সংগ্রহ করবে। ২০১৭ সালে মোট জলবায়ু সহায়তার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বার্ষিক প্রতিবেদনে প্রকল্প অর্থায়ন বাড়াতে এডিবির জন্য অংশীদারিত্বের গুরুত্ব এবং জ্ঞান ও বিশেষজ্ঞ উন্নয়ন শেয়ারিং এর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এডিবি ২০১৭ সালে দাতাদের সহায়তায় নতুন পাঁচটি ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছে। এগুলো হচ্ছে ফাইন্যান্সিয়াল প্রডাক্ট, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা মোকাবেলায় বেসরকারি সেক্টরের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা, নগর অবকাঠামো উন্নয়নে অর্থ সহায়তা, অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ বৃদ্ধি করা, অবকাঠামো প্রকল্প নক্সায় উচ্চ প্রযুক্তির ব্যবহার।
বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়, এডিবি’র কো-ফাইন্যান্সিং লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সামান্য কম হয়েছে। ২০১৭ সালে হয়েছে ১১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অথচ ২০১৬ সালে ছিল ১২.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এডিবি’র প্রেসিডেন্ট নাকাও বলেন, আমরা লোন বিতরণ এবং ফাইন্যান্সিংয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে সুনিদিষ্ট পদক্ষেপ নিব। ২০১৭ সালের এপ্রিলে এডিবি’র নতুন প্রক্রিউরমেন্ট নীতি অনুমোদন করা হয়েছে। ব্যাংকের সম্পদ বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চলছে। বার্ষিক প্রতিবেদন ২০১৭ বিগত বছরের চেয়ে অধিক ব্যাংকভিত্তিক হয়েছে। সুত্রঃ বাসস
সাহস২৪.কম/রনি