যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জন্য ১,৪৯৮ কোটি ১৪ লাখ টাকা

প্রকাশ : ০৮ জুন ২০১৮, ১৫:০৬

সাহস ডেস্ক

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পরিচালন ও উন্নয়ন ব্যয় মিলিয়ে সর্বমোট ১,৪৯৮ কোটি ১৪ লাখ টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছেন। এর মধ্যে উন্নয়ন খাতে ৩০৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা এবং পরিচালন খাতে ১,১৯৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে।

২০১৭-১৮ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে উন্নয়ন খাতের পরিমাণ ছিল ২২৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা এবং পরিচালন খাতের পরিমাণ ছিল ৯৬৪ কোটি ৬২ লাখ ২৬ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে গত অর্থবছরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সংশোধিত বাজেট-এর পরিমাণ ছিল ১,১৯০ কোটি ৪৮ লাখ ২৬ হাজার টাকা। অর্থাৎ এবারের প্রস্তাবিত বাজেট গত বছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ৩০৭ কোটি ৬৫ লাখ ৭৪ হাজার টাকা বেশী।

এবারের বাজেটে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে যে সমস্ত প্রকল্প/কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো নীলফামারী ও নেত্রকোনা জেলা স্টেডিয়ামের উন্নয়ন ও রংপুর মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পের জন্য ৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকা, কিশোরগঞ্জ জেলার শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্টেডিয়াম সংষ্কার উন্নয়ন ও ভৈরব উপজেলায় শহীদ আইভী রহমান স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্প খাতে ৪৫ লাখ টাকা, নাটোর ও গাইবান্ধা জেলা সদরে ইনডোর স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্পে ৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকা, কুমিল্লা শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়াম (কুমিল্লা স্টেডিয়াম) উন্নয়ন ও সুইমিংপুল নির্মাণ প্রকল্পে ৫ কোটি টাকা, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সদরে সুইমিংপুল নির্মাণ প্রকল্পে ৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা, সিলেট জেলা স্টেডিয়াম ও আবুল মাল আব্দুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পে ৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছ।

এ ছাড়া উন্নয়ন খাতের অন্যান্য প্রকল্পগুলো হলো শেরপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্টেডিয়াম উন্নয়ন এবং ইনডোর স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্প, জামালপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট আব্দুল হাকিম স্টেডিয়াম কমপ্লেক্সের উন্নয়ন, মুন্সীগঞ্জ জেলা স্টেডিয়াম এবং সুইমিংপুলের অধিকতর উন্নয়নসহ ইনডোর স্টেডিয়াম ও টেনিস কোর্ট নির্মাণ, উপজেলা পর্যায়ে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্প, তৃণমুল পর্যায়ে ক্রীড়া প্রতিভা অন্বেষন করে নিবিড় প্রশিক্ষণ প্রদান এবং বিকেএসপির বিদ্যমান ক্রীড়া সুবিধাবলীর অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প এবং বিকেএসপির আঞ্চলিক কেন্দ্রের উন্নয়ন প্রকল্প।

এ ছাড়াও এই বাজেটের আওতায় মিরপুর সৈয়দ নজরুল ইসলাম সুইমিং কমপ্লেক্সের অধিকতর উন্নয়নের জন্য সর্বমোট ৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ও ঢাকাস্থ রমনা ও রাজশাহী জাফর ইমাম টেনিস কমপ্লেক্সের সংষ্কার ও উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য মোট ৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে।

২০১৮-১৯ অর্থবছরে যুব উন্নয়ন অধিদপ্ততের অধীনে যে বিভিন্ন প্রকল্প, কর্মসূচী বাস্তবায়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে শেখ হাসিনা জাতীয় যুব কেন্দ্রকে শক্তিশালী ও আধুনিকায়ন প্রকল্প, টেকনোলজি এমপাওয়ারমেন্ট সেন্টার অন হুইলস ফল আনপ্রিভিলাইজড রুরাল পিপল অব বাংলাদেশ প্রকল্প, ৬৪টি জেলায় তথ্য প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সক্ষমতা বৃদ্দিকরণ প্রকল্প, দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে ব্যাপক প্রযুক্তি নির্ভর সমন্বিত সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রকল্প।

অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত বাজেট বক্তৃতায় বলেন, জাতি গঠনে যুব সমাজ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। তাই তাদের সঠিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষন প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ কর্মী বাহিনীতে পরিনত করা এবং তাদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। অন্যদিকে তৃণমূল পর্যায় থেকে ক্রীড়া প্রতিভা অন্বেষন এবং নিবিড় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ খেলোয়াড় তৈরী ও যথাযথ অবকাঠামো সুবিধা সৃষ্টির চলমান কাজ অব্যাহত থাকবে। প্রমীলা প্রশিক্ষনার্থীদের জন্য ক্রীড়া উন্নয়ন কার্যক্রম এবং যথাযথ ক্রীড়া অবকাঠামো নির্মানের কাজও চলমান আছে। সরকারী উৎসাহ ও প্রনোদনায় ক্রিকেট ও ফুটবলে নারীরা ইতোমধ্যে প্রশংসনীয় সাফল্য এনেছে। ক্রিকেটের ক্ষেত্রে জাতীয় অর্জনের মত আরো কয়েকটি নির্দিষ্ট খেলায় সাফল্য অর্জনের কৌশল ও কার্যক্রম প্রনয়নের চিন্তাভাবনাও সরকারের আছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত