সিঙ্গাপুরকে জ্বালানী খাতে বিনিয়োগের আহ্বান

প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০১৮, ১১:৩৮

সাহস ডেস্ক

বাংলাদেশে বর্তমানে বিনিয়োগ পরিবেশ বিরাজ করছে। ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এজন্য খাতটিতে প্রচুর বিনিয়োগ দরকার। তাই সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিদ্যুৎ-জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

আজ মঙ্গলবার (১০ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর বিজনেস ফোরাম’ এর অনুষ্ঠানে আহ্বান জানান তিনি।

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই এবং সিঙ্গাপুর বিজনেস ফেডারেশন (এসবিএফ) যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে। সভা আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা করে বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বার অব সিঙ্গাপুর (বিডিচ্যাম)।

প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, সিঙ্গাপুরের জন্য বাংলাদেশে বিনিয়োগের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য রয়েছে। এ জন্য খাতটিতে প্রচুর বিনিয়োগ দরকার। চায়নার বিনিয়োগকারীরা এখন প্রতিনিয়ত আমাদের দরজায় নক করে। দেশের জ্বালানি খাতে সিঙ্গাপুর বেশ কিছু বিনিয়োগ করেছে। সিঙ্গাপুরের কাছ থেকে আমরা আরও বেশি বিনিয়োগ প্রত্যাশা করি।

প্রতিমন্ত্রী জানান, সিরাজগঞ্জ ৪১৪, এলএনজি টার্মিনাল, ১৪০০ হাজার মেগাওয়াটের কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র, এলএনজি সরবরাহে সিঙ্গাপুর বিনিয়োগ করেছে। তাদের কাছ থেকে অটোমেশন, ডিজিটাল পেমেন্ট, আইসিটি ও উদ্ভাবনী খাতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ প্রত্যাশা করে।

সিঙ্গাপুর বিজনেস ফেডারেশন (এসবিএফ) এর চেয়ারম্যান টেও সিওং সেং জানান, তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। এ ক্ষেত্রে জ্বালানি, বিদ্যুৎ, পর্যটন, ফার্মাসিউটিক্যালস, স্বাস্থ্য, জাহাজশিল্প ও সেবাখাতকে অগ্রাধিকার দেবে সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ীরা। এ সময় তিনি বাংলাদেশের নানা সূচকের উন্নয়নের তথ্যও তুলে ধরেন।

এফবিসিসিআই সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সিঙ্গাপুরের জন্য বাংলাদেশ হতে পারে অন্যতম গন্তব্য। বাংলাদেশে অবকাঠামোখাতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে। এ খাতটিসহ জ্বালানি ও আইসিটি খাতে আমরা সিঙ্গাপুরের বিনিয়োগ প্রত্যাশা করি।

এফবিসিসিআইয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে (জুলাই-ডিসেম্বর) সিঙ্গাপুর থেকে ১৪২ কোটি ৫৪ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য ও সেবা আমদানি করেছে। বিপরীতে ওই সময়ে বাংলাদেশ রফতানি করেছে মাত্র ১২ কোটি ৫৭ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী মো. আমিনুল ইসলাম, বিডি চ্যামের সভাপতি মোহাম্মদ শহীদুজ্জামান, এসআইসিসিআইয়ের ভাইস-চেয়ারম্যান প্রসূন মুখার্জি, এফবিসিসিআই সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম,সহ-সভাপতি মুনতাকিম আশরাফসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীরা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত